সম্প্রতি পাকিস্তানে একটি সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন বাবর এবং তার টি টোয়েন্টি ফরম্যাটে ৬ টি শতরান পার্টনারশিপ অন্যতম প্রাপ্তি। আগে ওপেন করতেন না। এর কৃতিত্ব নিতে চান মিসবা উল হককে। মিসবাই তাকে বলেছিলেন ওপেন করতে টি টোয়েন্টি ফরম্যাটে। প্রথমদিকে সাফল্য পাননি। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে একটি সিরিজ থেকেই বুঝতে পেরেছিলেন ওপেনার হিসেবে রান করার যোগ্যতা রয়েছে তার।
advertisement
দুবাইতে ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের ১০ উইকেটে টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচ জেতানোর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৭৯ রান করেছিলেন তিনি। শামি, বুমরাহদের দেখে মনে হয়নি রিজওয়ানকে আটকানোর ক্ষমতা রয়েছে তাদের। পাক উইকেটরক্ষক বলেছেন ভারতের বিরুদ্ধে ওটাই ছিল তার জীবনের প্রথম ম্যাচ। তিনি নাকি মোটেও টেনশন করেননি। কিন্তু ম্যাচের পর ভক্তদের অভিবাদন দেখে বুঝতে পেরেছিলেন এই ম্যাচের মাহাত্ম্য।
তবে রিজওয়ান জানিয়েছেন মাঠের ভেতর ভারতকে হারানোর জন্য পাকিস্তান যেমন নিজেদের সর্বশক্তি উজাড় করে দিয়েছিল, তেমনই ভারতীয় ক্রিকেটাররা তিনি ব্যাট করার সময় নানাভাবে স্লেজিং চালাচ্ছিল। চেষ্টা চলছিল তার আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরানোর। তবে ম্যাচের শেষে বিরাট কোহলি যেভাবে এসে তাকে জড়িয়ে ধরেছিলেন, সেটা ভুলতে পারেননি রিজওয়ান। ভাইরাল হয়েছিল দৃশ্যটা।
ঠিক কি বলেছিলেন বিরাট? পাকিস্তানের উইকেট রক্ষক জানাচ্ছেন এত সহজে ম্যাচটা জিতে যাবে পাকিস্তান বিরাট ভাবতে পারেনি। রিজওয়ানকে অসাধারণ ব্যাটিংয়ের জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক। ভবিষ্যতের জন্য শুভেচ্ছা বিনিময় করেছিলেন। শুধু বিরাট নন, রোহিত থেকে শুরু করে কে এল রাহুল এবং বাকিরাও পাকিস্তানকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিল ওই ম্যাচের পর।
রিজওয়ান মনে করেন ম্যাচের বাইরে ভারতীয় ক্রিকেটাররাও তাদের বন্ধু স্থানীয়। যেমন বেশ কিছু পাকিস্তানি ক্রিকেটারকে দেখা গিয়েছিল মহেন্দ্র সিং ধোনির কাছ থেকে পরামর্শ নিতে। এটাই প্রমাণ করে ম্যাচের বাইরে ক্রিকেটারদের পারস্পারিক সম্পর্ক যথেষ্ট ভাল।