পাকিস্তানের সামা টিভিতে আফ্রিদি বলেছেন, ‘ভারতে যদি পটকাও ফাটে, তাতেও পাকিস্তানকেই ওরা (ভারত) দায়ী করবে। কাশ্মীরে তোমাদের ৮ লক্ষ সৈন্য নিয়ে গঠিত একটি শক্তিশালী সেনাবাহিনী আছে, তার পরও এমন ঘটনা ঘটছে। তার মানে তোমরা যদি জনগণকে নিরাপত্তা দিতে না পারো, তাহলে তোমরা অদক্ষ এবং অকর্মণ্য।’
আফ্রিদি আরও বলেন, “আক্রমণের এক ঘন্টার মধ্যেই ওদের মিডিয়া বলিউডে পরিণত হয়ে যায়। ঈশ্বরের দোহাই, সব কিছুকে বলিউডের সিনেমার মতো বানাবেন না। আমি ওদের কথা বলার ধরণ উপভোগ করছিলাম। ওদের চিন্তাভাবনা দেখুন, আর ওরা নিজেদেরকে শিক্ষিত মানুষ বলে দাবি করে।’
advertisement
আরও পড়ুন- এই পাক ক্রিকেটারের ইউটিউব চ্যানেল দেখা যাবে ভারতে, কোন কারণে রেয়াত পেলেন এক ক্রিকেটার
আফ্রিদি বলেছেন, ‘ভারতের দু’জন ক্রিকেটার আছেন, যাঁরা ভারতের হয়ে অনেক বছর ক্রিকেট খেলেছেন। ওরা রাষ্ট্রদূত হয়েও সরাসরি পাকিস্তানকে দোষারোপ করছেন। পাকিস্তানই কেন? কোনও প্রমাণ থাকলে তা হলে দেখাও। ভারতকে বলব, এবার সাবধান হয়ে যাও। বারবার পাকিস্তানকে দায়ি করে কোনও লাভ হবে না।’
এদিকে পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং বিদেশমন্ত্রী ইশাক দার সম্প্রতি বলেছেন, ‘যারা হামলা চালিয়েছে, তারা মুক্তিযোদ্ধা।’ এর পর ছেড়ে কথা বলেনি ভারত। পাকিস্তানের সঙ্গে ১৯৬০ সালের সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত করা হয়, বাতিল করা হয়েছে পাকিস্তানি নাগরিকদের দেওয়া সব ভিসা। পাকিস্তানিদের অবিলম্বে ভারত ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।