এই টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে তিনি ৬০৭ মিনিট ব্যাট করেছেন। অর্থাৎ ১০ ঘণ্টার বেশি ক্রিজে ছিলেন তিনি। এটাও একটা রেকর্ড। মাত্র ৪ রানের জন্য টেস্টে তাঁর প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি ফস্কালেন বাবর। তবে দলকে পরাজয়ের হাত থেকে বাঁচাতে সফল হন তিনি। নাথান লায়নের বলে ১৯৬ রানে আউট হন বাবর আজম। বাবরের এই স্কোর চতুর্থ ইনিংসে যে কোনো অধিনায়কের করা সর্বোচ্চ স্কোর।
advertisement
আরও পড়ুন- একদিকে বেগুনি, অন্যদিকে সোনালী রঙের চুল! কেকেআর-এর রাসেল নতুন লুকে হাজির
ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক মাইকেল আথারটনকে পেছনে ফেলেছেন বাবর। ১৯৯৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে জোহানেসবার্গ টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে আথারটন ১৮৫ রান করেছিলেন। এই তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন নিউজিল্যান্ডের ব্যাটর বেভান কংডন। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১৯৭৩ সালের নটিংহাম টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে তিনি ১৭৬ রান করেছিলেন।
এর আগে রাওয়ালপিন্ডিতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টেস্টে বাবরের সেরা স্কোর ছিল ১৪৩ রান। এটি বাবরের টেস্ট কেরিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরিও ছিল। তাঁর ১৯৬ রানের ইনিংসে বাবর ৪২৫টি বল মোকাবেলা করেন। ২১টি চার ও একটি ছক্কাও মেরেছিলেন।
এক প্রান্তে টিকে রইলেন বাবর আজম-
অস্ট্রেলিয়ার ৫০৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পঞ্চম দিনে চায়ের আগে পর্যন্ত ৪ উইকেট হারিয়ে ৩১০ রান করেছিল পাকিস্তান। বাবর আজম ১৬৮ ও মহম্মদ রিজওয়ান ১৪ রানে অপরাজিত ছিলেন তখন। জয়ের জন্য পাকিস্তানের দরকার ছিল ১৯৬ রান। তবে দলের মনোযোগ ছিল ম্যাচ ড্র করার দিকে। রিজওয়ান ১৭৭ বলে অপরাজিত ১০৪ রান করেন।
আরও পড়ুন- 'মিস্টার আইপিএল' ফিরছেন, সঙ্গে রবি শাস্ত্রী! জমে ক্ষীর হতে পারে আইপিএল ২০২২
এর আগে অস্ট্রেলিয়ার বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভাল হয়নি পাকিস্তানের। ২১ রানে দলের দুই উইকেট পড়ে যায়। কিন্তু বাবর আজম ও আবদুল্লাহ শফিক তৃতীয় উইকেটে ২২৮ রান যোগ করে দলের উপর থেকে পরাজয়ের আশঙ্কা অনেকটাই এড়ান। দুজনেই তিন সেশন ব্যাট করেছেন। ৯৬ রান করে আউট হন শফিক। কিন্তু বাবর এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে দলকে টানতে থাকেন।