দু’দেশের সম্পর্কের উন্নতি হলে আমরা ভারতে গিয়ে প্রশিক্ষণ নেওয়ার সুযোগ পেতে পারি। পাকিস্তানের ব্যাডমিন্টনে পাঁচবার জাতীয় চ্যাম্পিয়ন তিনি। কিন্তু সেটা সিন্ধুর মত খেলোয়ারকে আটকানোর পক্ষে যথেষ্ট নয়। মাহুর মনে করেন ভারত ব্যাডমিন্টনে অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে শেষ কয়েক বছরে। পাকিস্তানের সঙ্গে তাদের তুলনা চলে না।
advertisement
চিন এবং জাপানের সঙ্গে পাল্লা দেয় ভারতীয় ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড়রা। ভারতের কাছে হারের মধ্যে অবাক হওয়ার কিছু নেই বলেই মনে করেন তিনি। শাহজাদ বলেছেন, ব্যাডমিন্টনে ভারত এখন বিশ্বের অন্যতম সেরা দল। গত কমনওয়েলথ গেমসে চ্যাম্পিয়ন। ভারতের খেলোয়াড়দের কাছে আমাদের অনেক কিছু শেখার রয়েছে। বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে খেললে শেখা যায়।
সিন্ধুর কাছে ২১-৭, ২১-৬ ব্যবধানে ব্যক্তিগত পরাজয় প্রত্যাশিত বলেও জানিয়েছেন পাক শাটলার। টোকিয়ো অলিম্পিক্সে অংশ নেওয়া ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় বলেছেন, সিন্ধু প্রাক্তন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। অলিম্পিক্সে রুপোর পদক জিতেছে। সিন্ধুর শটের বৈচিত্র অনেক বেশি। কোর্টে গতি বেশি। কী শট মারবে সব সময় অনুমান করা যায় না।
হারলেও সিন্ধুর খেলা দেখে শেখার চেষ্টা করেছেন শাহজাদ। তবে শুধু শাহজাদ নন, পাকিস্তানের পুরুষ ব্যাডমিন্টন তারকা মুরাদ আলিও মনে করেন যেভাবে তিনি প্রায় আত্মসমর্পণ করেছেন শ্রীকান্তর বিরুদ্ধে তাতে প্রমাণ হয় সবদিক থেকে এগিয়ে ভারত।
পাকিস্তানের সরকার একমাত্র ক্রিকেট ছাড়া কোন খেলাকে গুরুত্ব দেয় না। হকিতেও পাকিস্তানের সেই সোনালী সময় আর নেই। সেখানে ভারতীয় খেলোয়াড়দের উন্নতির পেছনে সরকারের সাহায্য এবং পরিকাঠামো বিরাট ভূমিকা পালন করে মনে করেন পাক খেলোয়াড়রা।