অভিমন্যুর কথায়, 'আমি যখন দাবা খেলতে শুরু করি, তখন আমার বয়স ছিল আড়াই বছর। আমার রোল মডেল ম্যাগনাস চার্লসেন। আমার মূল লক্ষ্য বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়া। আর আপাতত পরবর্তী লক্ষ্য সুপার মাস্টার হওয়া। আমি আশা করছি, আমার ১৫ বছরের মধ্যেই সেই লক্ষ্যে পৌঁছে যেতে পারব।'বুদাপেস্টের ফাইনাল ম্যাচ প্রসঙ্গেও অভিমন্যু বলছে, 'ফাইনাল ম্যাচটা কঠিন ছিল। কিন্তু আমার মনে হয়েছিল, আমি জিততে পারি। আমি প্রচন্ড চাপ অনুভব করছিলাম। কিন্তু শেষমেশ ম্যাচ বের করে আনি। কারণ আমরা এখানে আড়াই মাস ধরে ছিলাম।'
advertisement
প্রসঙ্গত, অভিমন্যু মিশ্র সূর্যশেখর গঙ্গোপাধ্যায়ের ছাত্র। আর ছাত্রের এমন অনন্য কীর্তিতে গর্বিত সূর্যশেখরও। অভিমন্যুর গ্র্যান্ডমাস্টার হওয়ার দিনই সূর্যশেখর লিখেছিলেন, ''অনেক শুভেচ্ছা। এবার সর্বকনিষ্ঠ আইএম থেকে সর্বকনিষ্ঠ জিএম। প্রোফাইল বদলে নিও। তোমার জন্য আমরা সবাই গর্বিত। ক্লাসে তোমার সঙ্গে দেখা হওয়ার জন্য মুখিয়ে রয়েছি।'' পাল্টা নিজের শিক্ষককে ধন্যবাদেও ভরিয়ে দিয়েছেন অভিমন্যু। ১২ বছরেই বিখ্যাত কিশোর লিখেছে, ''ধন্যবাদ কোচ। ২০২১-এর শুরুটা আমার জন্য দারুন হল। এমনিতেই করোন মহামারীর জন্য আমার জীবনের অনেকটা গুরুত্বপূর্ণ সময় নষ্ট হয়েছে। তবে সেই সময়টা পুনরুদ্ধার করতে পেরেছি। আপনাদের সহযোগিতার জন্য অনেক ধন্যবাদ।''
আমেরিকার নিউ জার্সির বাসিন্দা অভিমন্যু। আর এবার সে রেকর্ড গড়েছে হাঙ্গেরির বুদাপেস্টে। প্রসঙ্গত, এর আগে ১০ বছর ৯ মাস ২০ দিন বয়সে অভিমন্যু আইএম শিরোপা জিতেছিল। শুধু তাই নয়, গত কয়েক বছর ধরে ধারাবাহিকভাবেই দুর্দান্ত ফল করছিল সে। এবার বহুদিন ধরেই বুদাপেস্টে রয়েছেন অভিমন্যু। সেখানেই গ্র্যান্ডমাস্টার হওয়ার একের পর এক বাধা পার করেছে সে। তবে সেখান থেকে ফিরে আসার আগে এটাই ছিল শেষ সুযোগ। সেটাকেই কাজে লাগিয়েছে সে। সব বাধা টপকে নতুন কৃতিত্ব অর্জন করলেন অভিমন্যু।
