সমীরের মা উষা বন্দ্যোপাধ্যায় মূলত বিশাখাপত্তনমের বাসিন্দা ছিলেন। তিনি ফার্মাসিউটিকল ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যুক্ত। ১৯৮৬ সালে তিনিই প্রথম নিউ জার্সিতে পাড়ি দেন। এর পর ১৯৮৯ সালে নিউ জার্সি চলে যান কুণাল বন্দ্যোপাধ্য়ায়। জুনিয়র উইম্বলডন জয়ী সমীরের বাবা কুণাল বলছিলেন, ''ভারতীয় টেনিস সার্কিটে সমীরকে নিয়ে এত কথা হচ্ছে, এটা দেখে ভাল লাগছে। আসলে আমার ছোটবেলা কেটেছে অসমের ডিব্রুগড়ে। আমার বাবা হিরন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় অয়েল ইন্ডিয়ার দুলিয়াযান হেডকোয়ার্টারের ম্যানেজার ছিলেন। আমরা অসমের ডিব্রুগড় জেলার বাসিন্দা ছিলাম। আমি আইআইটি মুম্বই থেকে পড়াশোনা করে আমেরিকা চলে যাই। ওখানে ফিনান্সিয়াল কনসালট্যান্ট হিসাবে কাজ শুরু করি।'' উল্লেখ্য, সমীরের দিদি এখন কলেজের থার্ড ইয়ারের ছাত্রী। এবার সমীরেরও কলেজে ভর্তি হওয়ার কথা। মেধাবী ছাত্র সমীর পড়াশোনায় যেন ফাঁক না রাখে, সেটাই চাইছেন কুণাল বন্দ্যোপাধ্যায়।
advertisement
সমীরের টেনিস কেরিয়ার নিয়ে এখন অনেকেরই জানার উত্সাহ। কুণাল বন্দ্যোপাধ্যায় বলছিলেন, ''পাঁচ বছর বয়সে নিউ জার্সির সেন্টার কোর্ট টেনিস অ্যাকাডেনিতে ট্রেনিং শুরু করেছিল সমীর। ও তো তখন ফুটবল আর বেসবলও খেলত। টেনিস ক্লাবে আমার কিছু বন্ধু সমীরের খেলা দেখে মুগ্ধ হয়। ওরাই বলেছিল ছেলেকে টেনিসে ভর্তি করাতে। এর পর ও জুনিয়র লেভেলে বেশ কয়েকটা টুর্নামেন্ট জেতে। ২০১৭ সালে আমেরিকার অনূর্ধ্ব-১৪ উইন্টার চ্যাম্পিয়নশিপ জেতে সমীর। ও ফ্লোরিডা ও ফ্র্যাঙ্কফুটে ট্রেনিং করেছে। তবে আমি সব সময়ই চাই ও যেন টেনিসের পাশাপাশি পড়াশোনাও করে। সমীর মেধাবি। তা ছাড়া আর পাঁচজন ভারতীয় অভিভাবকের মতো আমরাও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগি। টেনিসে কেরিয়ার গড়লে অনিশ্চয়তা রয়েছে। তবে উইম্বলডন জুনিয়র চ্যাম্পয়ন হওয়াটা ওকে নতুন করে ভাবতে বসিয়েছে। ও এখন সিনিয়র লেভেল টুর্নামেন্টে খেলার জন্য প্রস্তুতি নেবে।'' প্রসঙ্গত, উইম্বলডন জুনিয়র চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর সমীর এখন টপ টেন জুনিয়র প্লেয়ার্সদের তালিকায় ঢুকে পড়তে পারেন। আর তাই সমীর এবার আমেরিকার ন্য়াশনাল হার্ডকোর্ট টুর্নামেন্ট জয়ের স্বপ্ন দেখছে। তা হলেই ইউএস ওপেনে খেলার ওয়াইল্ড কার্ড এন্ট্রি পাবে সে। স্বপ্নপূরণের আর তো মাত্র কয়েক ধাপ দূরে ভারতীয় বংশোদ্ভূত সমীর।