ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডের ইভেন্টেও পাকিস্তানে যাওয়ার প্রসঙ্গ উঠলেই এড়িয়ে যেতেন মিলখা। ১৯৬০ এ রোম অলিম্পিকের পদক হাতছাড়া হওয়ার পরেও জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েনি মিলখা সিংয়ের। এমনই এক সময়ে ১৯৬৯-এ পাকিস্তান থেকে একটি ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড ইভেন্টের আমন্ত্রণ এল ভারত সরকারের কাছে। মিলখাকে ছাড়া দল পাঠানোর মানে হয় না। আর শৈশবের সেই সব দুর্বিষহ স্মৃতির কথা মনে করে মিলখিও যেতে চান না পাকিস্তান।
advertisement
শেষে মিলখাকে রাজি করাতে আসরে নামতে হয়েছিল পন্ডিত নেহেরুকে। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর দৌত্যে পাকিস্তান যেতে রাজি হয়েছিলেন মিলখা। পাকিস্তানের স্প্রিন্টার আব্দুল খালেক সেই সময়ে বিশ্ব অ্যাথলেটিক্সে চেনা নাম। খালেক বনাম মিলখার দৌড়ের লড়াই দেখতে স্টেডিয়াম উপচে পড়েছিল। মিলখার নিজের স্মৃতিচারণায়," লাহোর স্টেডিয়ামে ৮০ হাজার দর্শক সেদিন হয়েছিল। তার মধ্যে অন্তত কুড়ি হাজার মহিলা। সবাই মিলখাকে দৌড়াতে দেখতে চান।"
খালেকের সঙ্গে ডুয়েলে নিজের প্রিয় ইভেন্ট ৪০০ মিটারে অনায়াসে জিতলেন মিলখা। কিন্তু ১০০ মিটারে সুবিধে করতে পারলেন না। হেরে বসলেন খালেকের কাছে। শেষ ইভেন্ট ২০০ মিটার ফাইনাল। আবারও মুখোমুখি মিলখা ও খালেক। প্রথম ১০০ মিটার খালেক এগিয়ে ছিলেন। শেষ ল্যাপে এসে বাজি মেরে দিলেন মিলখা।
লাহোর স্টেডিয়ামে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন তৎকালীন পাক প্রেসিডেন্ট জেনারেল আয়ুব খান। মিলখার প্রশংসা করে বলেন," মিলখা পাকিস্তানে এসে দৌড়ায়নি। পাকিস্থানে উড়ে বেড়িয়েছেন।" পাক প্রেসিডেন্টের মুখের কথায় থেকেই সেই থেকে মিলখা সিং হলেন ফ্লাইং শিখ(Flying Sikh)।