মীরাবাঈ চানু আর পাঁচটা বাঙালির মতই মাছের পোকা। ফিশ তন্দুরি পেলে মনিপুরী এই মেয়ে অন্য দিকে ফিরেও তাকায় না। জাতীয় ভারোত্তোলন চ্যাম্পিয়নশিপ উপলক্ষে কলকাতায় এসে তাই দেদার মাছ খাচ্ছেন চানু।
সামনের এপ্রিলে কাজাকিস্তানে এশিয়ান ভারোত্তোলন চ্যাম্পিয়নশিপ। কোচ বিজয় সিংয়ের তৈরি করে দেওয়া খাদ্য তালিকার বাইরে যাওয়ার উপায় নেই। কিন্তু তার মধ্যেও কলকাতার ফিশ কারি মিস করতে চান না ২৫ বছর বয়সী মহিলা ভারত্তোলক।
advertisement
ইতিমধ্যেই অলিম্পিক্সে যাওয়ার ছাড়পত্র মিলেছে । তবে সরকারি ঘোষণা এপ্রিলে কাজাকিস্তানের এশিয়ান ভারোত্তোলন চ্যাম্পিয়নশিপের পরেই।সকাল থেকে রাত হাড়-ভাঙ্গা অনুশীলনে টোকিওর জন্য তৈরি হচ্ছেন ভারতীয় ভারোত্তোলনের পোস্টার-গার্ল। টোকিওর ড্রেস রিহার্সালে ১৪০ থেকে ১৪৫ কেজি পর্যন্ত ওজন তুলছেন নিয়ম করে।
২০১৬-র রিও অলিম্পিক্সের ব্যর্থতার কথা মাথায় রেখে সতর্ক ছোটখাটো চেহারার মেয়েটা। তাঁর কথায়, "টোকিওতে স্নায়ুর চাপ সামলাতে পারিনি। প্রথম অলিম্পিক ছিল। এবার আর সেই ভুল হবে না। পদকের লড়াইয়ের জন্য আমি তৈরি।" ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রের ইনডোরে দাঁড়িয়ে হাসতে হাসতেই বলছিলেন দেশের সম্ভাব্য অলিম্পিক্স পদকজয়ী।
আরও পড়ুন - #Breaking: চোটের ধাক্কা, নিউজিল্যান্ড সফরে একদিন ও টেস্ট ক্রিকেটে নেই রোহিত শর্মা
সলমন খানের সিনেমার অসম্ভব ভক্ত চানু। সেই সলমনের সিনেমা দেখাতেও সাময়িক বিরতি পড়েছে। চানুর পাখির চোখ টোকিওতে। ৪৯ কেজি বিভাগে ভারতের সেরা বাজি জানালেন, "মা-বাবা-কে সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু মা-বাবা গেলেই চাপ বাড়বে। তাই এবার ওঁদের নিয়ে যাচ্ছি না।" মেরি কম-কে দেখে বড় হওয়া। মেরির শৃঙ্খলা আর নিয়মানুবর্তিতা নিজের জীবনে এনেছেন মিরাবাই চানু। কমনওয়েলথ গেমসে সোনা জিতেছেন। এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপেও সোনা রয়েছে। ২০১৮ তে দেশের সর্বোচ্চ ক্রীড়া সম্মান রাজীব খেলরত্ন পেয়েছেন। তবুও টোকিওর পদকটা ওর চাই-ই-চাই। ওটা না পেলে কেরিয়ার অসম্পূর্ণ, সেটা এই ২৫-এ বেশ বুঝছেন মেরি কমের ভাবশিষ্যা সাইখম মীরাবাঈ চানু।
