এর আগে পিভি সিন্ধু জানিয়েছিলেন, তাঁর কোচ পুল্লেলা গোপিচাঁদ অলিম্পিক শুরুর কয়েক মাস আগে থেকেই মোবাইল জমা রেখে দিয়ছিলেন। এমনকী অলিম্পিকের বেশ কয়েক মাস আগে থেকেই সিন্ধুকে আর আইসক্রিম খেতে দেননি তিনি। অলিম্পিকের আগে এমন অনুশাসনের মধ্যে থেকে সিন্ধু কিন্তু ফল পেয়েছিলেন। সোনার পদক না জিতলেও রুপো পেয়েছিলেন তিনি। ভারতের প্রথম ব্যাডমিন্টন প্লেয়ার হিসেবে অলিম্পিকে রূপোর পদক জিতেছিলেন তিনি।
advertisement
এক সাক্ষাৎকারে সিন্ধু জানিয়েছিলেন, গোপিচাঁদ অলিম্পিক শুরুর বেশ কয়েক মাস আগেই তাঁর মোবাইল ফোন জমা রেখে ছিলেন এবং তাঁকে আইসক্রিম খেতে দেননি। সেই সাক্ষাৎকার টিভিতে দেখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। টোকিও অলিম্পিকে ভারতীয় অ্যাথলিটদের মনোবল বাড়াতে তাঁদের সঙ্গে কথা বলছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সময়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সিন্ধু জি আপনার বাবা-মা আপনার জন্য অনেক আত্মত্যাগ করেছেন। আপনি আজ যেখানে পৌঁছেছেন সেখানে পৌছানো সহজ কথা নয়। বাবা-মা তাঁদের কাজ করেছেন। এবার নিজের দেশকে গর্বিত করুন। আরো বেশি পরিশ্রম করুন এবং আমি জানি আরও একবার আপনি অলিম্পিকে সফল হবেন। আপনি অলিম্পিক থেকে ফিরে আসার পর আপনার সঙ্গে বসে আমি আইসক্রিম খাবো, কথা দিলাম।
ভারতের একমাত্র মহিলা ব্যাডমিন্টন প্লেয়ার হিসেবে টোকিও অলিম্পিকে কোয়ালিফাই করেছেন সিন্ধু। অ্যাথলিটদের জীবনে অনুশীলনের পাশাপাশি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ডায়েট। এদিন সেই ব্যাপারে সিন্ধু বললেন, অলিম্পিক শুরু হওয়ার অন্তত এক বছর আগে থেকেই স্পেশাল ডায়েটে থাকতে হয়। এই সময়টা বেশ কষ্টকর। তবে দেশের জন্য পদক জিততে পারলে সে সব কষ্ট কিছুই নয়।
