বিনোদ কুমার বিএসএফ-এ চাকরি করতেন। তাঁর বাবা ১৯৭১ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে লড়েছিলেন। এদিন বিনোদ কুমার ফাইনালে দুর্দান্ত পারফর্ম করেন। ১৯.৯১ মিটার থ্রো করেছিলেন তিনি। যা কি না এশিয়ান রেকর্ড। তবে এত ভাল পারফর্ম করেও শেষ পর্যন্ত তাঁর পোডিয়ামে উঠে ব্রোঞ্জ পদক গলায় পরা হল না। এদিন F52 ডিসকাস থ্রো ইভেন্টে নেমেছিলেন তিনি। এই ইভেন্টে তাঁরাই নামেন যাঁদের মাংশপেশিতে জোর কম, চলাফেরা একটি নির্দিষ্ট পরিখার মধ্যে সীমাবদ্ধ অথবা পায়ের দৈর্ঘ কম হয়। গেমস আয়োজকরা জানিয়েছে, F52 ইভেন্টের ফলাফল আপাতত রিভিউ করা হবে। ৩০ অগাস্ট বিকেলে এই ইভেন্টের চূড়ান্ত ফলাফল জানানো হবে।
advertisement
এক বিবৃতিতে আয়োজকরা জানায়, একাধিক দেশের পক্ষ থেকে বিনোদ কুমারের ব্যাপারে আপত্তি জানানো হয়েছে। আমরা খতিয়ে দেখছি, ভারতের বিনোদ কুমার তাঁর প্রতিবন্ধকতা অনুযায়ী সঠিক ইভেন্টে নেমেছিলেন কি না! বিনোদের ব্রোঞ্জ জয়ের ব্যাপারে তাই এখনই কিছু জানানো হবে না। এই ব্য়াপারে আমাদের বিচারকরা রিভিউ করবেন। উল্লেখ্য, F52 ইভেন্টে সোনা জিতেচেন পোল্যান্ডের পিওর কোসেউইচ। তিনি ২০.০২ মিটার থ্রো করেছিলেন। রুপো জিতেছেন ভেলিমির সান্ডোর। ক্রোয়েশিয়ার এই ডিসকাস থ্রোয়ার ১৯.৯৮ মিটার ডিসকাস থ্রো করেছিলেন। বিনোদ কুমার বিএসএফে যোগ দেওয়ার পর ট্রেনিংয়ে পায়ে চোট পেয়েছিলেন। ৩০ বছর বয়স থেকে তিনি ডিসকাস থ্রো খেলার সঙ্গে যুক্ত।