কর্তৃপক্ষরা দীপক এবং রবি এই দুজনের দ্বিতীয় ডোজ কোভিশিল্ড এর ব্যবস্থা করতে ব্যর্থ হয়েছেন। এই দুজন তখন রাশিয়ায় ছিলেন, অনুশীলনের জন্য এবং তাদের সঙ্গেই ছিলেন বিখ্যাত কুস্তিগীর বজরং পুনিয়া। যদিও ভারতে থাকাকালীন বজরং এর দুটো ডোজ সম্পূর্ন হয়ে গিয়েছিল। রাশিয়াতে শুধুমাত্র স্পুটনিক ভি এর লভ্যতা ছিল। কিন্তু সেখানে ভারতীয় অলিম্পিক কমিটি থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় কোনোভাবে কোভিশিল্ড জোগাড় করা হবে এবং শীঘ্র এই দুজনকে ভারতীয় দূতাবাসে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।
advertisement
কিন্ত দুর্ভাগ্যবশত ভারতীয় অলিম্পিক কমিটি সেই ব্যবস্থা করতে পারেনি। ফলে ১২৬ জন ভারতীয় প্রতিযোগীর মধ্যে রবি দহিয়া এবং দীপক পুনিয়া সম্পূর্ণ ভ্যাকসিন ছাড়াই, নিজেদের জীবনের বাজি রেখে অলিম্পিক ম্যাট এ নামবেন। এই দুজন তাদের প্রথম ডোজ ভারতে থাকাকালীন নিয়েছিল। তারপর তারা গিয়েছিলেন পোল্যান্ডের ওয়ারশ শহরে, যেখানে অংশগ্রহণ করেন পোলিশ ওপেন রাঙ্কিং টুর্নামেন্টে।
তারপর তাদের পোল্যান্ডে কথা ছিল ভ্যাকসিন এর দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার। অবশ্য পোল্যান্ডের সরকারি নীতির জন্য সেখানে কোভিশিল্ড আনা কঠিন কাজ বেশ, এবং ঠিক মতো অনুশীলনের সঙ্গী না থাকায় তারা চলে আসেন রাশিয়ার ভলাদিকাভকাজ শহরে। অবশ্য সেখানে ভ্যাকসিন জোগাড় করতে ভীষণভাবে ব্যর্থ হয় ভারতীয় অলিম্পিক কমিটি।
যেখানে ভারতীয় অলিম্পিক কমিটির প্রেসিডেন্ট নারিন্দার ধ্রুব বাতরা সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন টোকিও যাওয়ার আগে সব ভারতীয় অলিম্পিক প্রতিযোগীর দুই ডোজ ভ্যাকসিন এর ব্যবস্থা তিনি করে দেবেন। তবে রবি এবং দীপক যখন লড়াইয়ের মঞ্চে নামবেন তখন এসব মনে রাখবেন না। দেশের জন্য পদক জেতা ছাড়া অন্য কোন লক্ষ্য নেই তাদের।
