নংপক কাকচিং গ্রাম সেজে উঠেছে। চানুর পরিবারের লোকজন আগেই জানিয়েছিলেন, তাঁদের মেয়ে ঘরে ফিরলেই সেলিব্রেশন শুরু হবে। শনিবার ৪৯ কেজি বিভাগে নেমেছিলেন মীরাবাঈ। ৮৭ ও ১১৫ কেজি ওজন তুলেছিলেন তিনি। মোট ২০২ কেজি ওজন তুলে রেকর্ড গড়েছেন মণিপুরের অ্যাথলিট। ২০১৬ রিও অলিম্পিকে যেটা পারেননি ২০২১ টোকিওতে সেটাই করে দেখালেন তিনি। গত কয়েক বছরে তাঁর কেরিয়ারে ওঠাপড়া লেগেই ছিল। একের পর এক সোনা জয়ের পর ২০১৮ সালে পিঠের যন্ত্রণায় কাবু হয়েছিলেন তিনি। সেই বছর এশিয়ান গেমসেও নামতে পারেননি মীরাবাঈ। এর পর অলিম্পিকের জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছিলেন তিনি।
advertisement
শনিবার রুপো জিতে উঠে মীরাবাঈ বলেছিলেন, ''আমি সোনার জন্য ঝাঁপিয়েছিলাম। কিন্তু ক্লিন অ্যান্ড জার্ক-এ অল্পের জন্য লক্ষ্যে পৌঁছতে পারিনি। নার্ভাস ছিলাম। গোটা দেশ আমাকে দেখছিল। তবে মনে হচ্ছে আমি যেন আর শুধু মণিপুরের মেয়ে নেই। আমি এখন গোটা দেশের মেয়ে। সবাই আমার জন্য প্রার্থনা করেছেন। আমি সবার কাছে কৃতজ্ঞ। আপনাদের সবার শুভেচ্ছা আমাকে এই পদক জিততে সাহায্য করেছে। আমি প্রতিটি দেশবাসীর ভালবাসায় আপ্লুত। এই পদক আমি দেশবাসীর উদ্দেশে উত্সর্গ করলাম।''