১৯৯২ ও ২০০০ অলিম্পিকে অংশ নেওয়া জার্মানির মহিলা লং জাম্পার সুজান বলেন, ‘টোকিও অলিম্পিকে সেক্স নিষিদ্ধ শুনেই আমি ভয়ঙ্কর হেসেছিলাম। এসব কোনো কাজেই দেয় না। গেমস ভিলেজে সেক্স বরাবর একটা ইস্যু। বহু মানুষ সেক্স করার জন্য মরিয়া হয়ে থাকে। একের পর এক পার্টিও হতে থাকে। এর সঙ্গে অ্যালকোহলও চলে আসে। এমনকী অনেক সময় ঘুমানোও যায় না ঠিক ভাবে। অনেকে ভোরের দিকে সেক্স করে।’
advertisement
সুজান বলছেন, ‘সেক্স করলে শরীর রিচার্জ হয়ে যায় এনার্জি চলে আসে ভিতর থেকে। অলিম্পিকের রুমমেটরাও খুব সাহায্য করে। তারা ব্যাপারাটা বুঝে এবং সেক্স করার জন্য অন্য রুমমেটকে ঘর ছেড়ে দেয়।’ এরকমই অলিম্পিকে দেখা হওয়া এক অ্যাথলিট এখন তার স্বামী। স্পষ্ট জানিয়েছেন এতে অন্যায়ের কিছু নেই। জোর করে কেউ কিছু করে না। যা হয় সম্মতি মেনে হয়। আসলে অলিম্পিকের সময় নাকি শারীরিক দিক দিয়ে শক্তির শেষ সীমায় থাকেন অ্যাথলিটরা। এনার্জি রিলিজ করার কারণে সেক্স জরুরি হয়ে পড়ে মনে করেন সুজান।
আমেরিকার দু’বারের স্বর্ণপদকজয়ী গোলকিপার হোপ সোলো ২০১২ সালে ইএসপিএন-এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অলিম্পিকে সেক্সের অভিজ্ঞতা শুনিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘অলিম্পিকে প্রচুর সেক্স হয়। আমি লোককে প্রকাশ্যে সেক্স করতে দেখেছি। কেউ ঘাসের ওপর শুয়ে তো কেউ দু'টো বিল্ডিংয়ের ফাঁকে ঢুকে সেক্স করে।’
গতবছর রিওতে রেকর্ড ৪ লক্ষ ৫০ হাজার কনডম দেওয়া হয়েছিল তবে, টোকিও অলিম্পিকে দেড় লক্ষ কনডম দিয়েছেন আয়োজকরা। এই কয়েক বছরের কনডম বিতরণের পরিসংখ্যানই বলে দেয় যে, অলিম্পিকের সঙ্গে সেক্স জুড়েই রয়েছে। দুজনেই মনে করেন এবার যে টোকিওতে যৌনতা বিরোধী প্রচার করা হচ্ছে সেটা মূলত ভাইরাস যাতে না ছড়িয়ে পড়ে সেটা মাথায় রেখে। কিন্তু তার মধ্যেও সঙ্গম জারি থাকবে মনে করেন সুজান এবং সোলো।