পরিষ্কার বলেন, " ভারত হকির দেশ বলে পরিচিত ছিল বিশ্বে। আমাদের ইতিহাসের ৮ টি অলিম্পিক সোনা আছে। তাও শেষ কয়েক বছরে হকির জনপ্রিয়তা অনেকটা কমে গিয়েছিল। কিন্তু সরকার, প্রশাসন এবং স্পন্সররা সাহায্য করেছেন গত তিন বছরে। এই সাফল্য তার ফল। আশা করি ভারতবর্ষে নতুন করে হকির জোয়ার আসবে"।
কিছু ভুল বলেননি তিনি। হকিতে শেষ কয়েক বছরে অবশ্য নজর দিয়েছিল সরকার। রূপি মনে করেন এই হকি দলটা এখানেই থেমে থাকবে না। এই সাফল্যে সন্তুষ্ট হবে না। আগামীদিনে আরও গর্বিত করবে দেশকে। আরও উৎসব করার সুযোগ দেবে। তবে তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন জার্মানির বিরুদ্ধে লড়াই সহজ ছিল না। বেলজিয়ামের কাছে সেমিফাইনালে ২-৫ হারের পর ঘুরে দাঁড়িয়ে জার্মানদের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি নেওয়া বিরাট কঠিন কাজ ছিল।
advertisement
কিন্তু প্রত্যেক সদস্য জানতেন স্বর্ণপদক হাতছাড়া হলেও, ব্রোঞ্জ নিয়ে ফেরাটাও কম গর্বের নয়। তাই নিজেরাই নিজেদের মোটিভেট করেছেন। তার কথা অনুযায়ী গত কয়েক বছর ধরে যত টুর্নামেন্ট ভারত খেলেছে, টোকিও অলিম্পিকের কথা মাথায় রেখে খেলেছে। তিনি দলের সিনিয়র তারকা। কাছ থেকে দেখেছেন যেভাবে হরমন, বরুণ কুমার, বিবেক সাগর, হার্দিক সিং - উঠে এসেছেন।
নিজেকে ভাগ্যবান বলে মনে করেন। দেশবাসীকে কথা দিচ্ছেন যদি সমর্থন বজায় থাকে আগামীদিনে আরও সাফল্য উপহার দেবে ভারতের ছেলেরা। আজকে পেনাল্টি স্ট্রোক থেকে নিজে একটা গোল করেছেন। তবে সেটা নিয়ে কৃতিত্ব নিতে চান না। কমপ্লিট দলগত পারফরম্যান্স ছাড়া এই পদক জয় সম্ভব ছিল না জানিয়েছেন তিনি।
