স্পেনের ক্যারোলিনা মারিন এবার ছিলেন না অলিম্পিকে। তাই ভারতীয়দের প্রত্যাশাটা খানিকটা বেড়ে গিয়েছিল। সেটা অন্যায় ছিল না। প্রথম তিনটি ম্যাচে যে দাপট দেখিয়েছিলেন ভারতের ব্যাডমিন্টন তারকা তাতে স্বর্ণপদক বাড়াবাড়ি ভাবনা বলার জায়গা ছিল না। তাই জু - র বিরুদ্ধে নামার আগে একটি গেম হারেননি সিন্ধু। যাই হোক মন খারাপ হলেও মেনে নিয়েছিলেন ব্যর্থতা।
advertisement
আশা ছিল অন্তত ব্রোঞ্জ পদক নিয়ে টোকিও ছাড়বেন সিন্ধু। কিন্তু সেই লড়াইটাও সহজ ছিল না। সামনে ছিলেন চিনের হে বিং জিয়াও। কিন্ত আজকের আগে পর্যন্ত চিনের এই শাটলারের বিরুদ্ধে মুখোমুখি রেকর্ড ভাল ছিল না সিন্ধুর। ১৫ সাক্ষাতে ৯ টায় হেরেছিলেন তিনি। তার ওপর জিয়াও আবার বাঁহাতি। তাই বাড়তি সুবিধা ছিল চিনা প্রতিদ্বন্দীর।
যদি ব্রোঞ্জ পদকও জিততে পারতেন, ইতিহাস করে ফেলতেন সিন্ধু। প্রথম ভারতীয় মহিলা ক্রীড়াবিদ হিসেবে দুটি অলিম্পিক পদক আর যে ছিল না কারও। কিন্তু লড়াই কঠিন হবে জানা ছিল। কিন্তু নিজেকে ভারতীয় খেলার ইতিহাসে অন্য পর্যায়ে নিয়ে চলে গেলেন সিন্ধু।জিতলেন, লড়াই করলেন। চিৎকার করে প্রত্যেকটা পয়েন্ট সেলিব্রেট করলেন। আজ সিন্ধুর সঙ্গে সেলিব্রেট করল গোটা দেশ। ভারতীয় খেলাধুলার ইতিহাসে নতুন চ্যাপ্টার লিখলেন ভারতীয় ব্যাডমিন্টন তারকা।
