এর মাঝে গঙ্গা দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে, কিন্তু গোলের তলায় শ্রীজেশের ভরসা ক্রমশ বেড়ে গিয়েছে। নিজেকে কিংবদন্তির পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছেন তিনি। আজ জার্মানির বিরুদ্ধে পদক জয়ের ম্যাচে একইরকম সপ্রতিভ ছিলেন। ভারতীয় রক্ষণে যখন একের পর এক জার্মান হামলা চলছে, তখন পাহাড়ের মতো দাঁড়িয়ে একের পর এক বাঁচালেন শ্রী। একটা পেনাল্টি কর্ণারে পায়ের তলা দিয়ে গোল খাওয়া ছাড়া এদিন প্রায় দুর্ভেদ্য ছিলেন।
advertisement
শুধু আজ কেন? গোটা টুর্ণামেন্টেই নিজের জীবন বাজি রেখেছেন। আজ ম্যাচ শেষ হওয়ার ছয় সেকেন্ড আগে পেনাল্টি কর্ণার পেয়েছিল জার্মানি। সমগ্র দেশের রক্তচাপ বেড়ে গিয়েছিল। ওই গোলটা হয়ে গেলে ম্যাচ চলে যেত শুট আউটে। কিন্তু সেটা হতে দেননি ভারতীয় গোলরক্ষক। ম্যাচ শেষে ভারতীয় হকি খেলোয়াড়রা যখন সেলিব্রেট করছেন, তখন আলাদা কয়েক মিনিটের জন্য গোলপোস্টের মাথায় চড়ে বসলেন শ্রীজেশ।
যেন বোঝাতে চাইলেন তিনিই ভারতের একমাত্র প্রাচীর। যেন বার্তা দিতে চাইলেন আমি এই জায়গার রাজা। এটা আমার রাজত্ব। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে অত ভারী সরঞ্জাম নিয়ে তিনি পোষ্টের মাথায় উঠলেন কী করে ? এই ছবি ভাইরাল নেট মাধ্যমে। শেষ একটা যুগের বেশি সময় ধরে নিজের জায়গা ধরে রেখেছেন। দ্বিতীয় গোলরক্ষক তাঁর পর্যায়ের এখনও উঠে আসেনি।
তবে তিনি নিশ্চিত তিনি থাকতে থাকতেই তার পরিবর্ত খুঁজে পাবে ভারত'। ভারতের দ্বিতীয় গোলরক্ষক পাঠক তৈরি হচ্ছেন তার তত্ত্বাবধানে। হয়তো কয়েক বছর পর তিনি খেলা ছেড়ে দেবেন। কিন্তু তার রেখে যাওয়া সাফল্য ভারতীয় হকির চলার পথে সব সময় উজ্জ্বল আলো হয়ে পথ দেখাবে।
