ক্রসকোর্ট, সবেতেই নিখুঁত ছিলেন সার্বিয়ান কিংবদন্তি।
জাপানি তারকা ম্যাচে ফেরার সুযোগ পাননি। বলা ভাল, দম ফেলার সুযোগ পাননি। নিশিকোরি চাপে পড়ে প্রচুর ভুলভ্রান্তি করলেন। সামান্যতম প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারলেন না। দেখে মনে হচ্ছিল জোকোভিচ মেশিনের মত ফেলছেন। তাও ফাইনাল গেম দুটি ব্রেক পয়েন্ট বাঁচিয়েছিলেন জাপানি। কিন্তু ভুল করেননি জোকার। সোনা থেকে আর ঠিক দুটি ম্যাচ দূরে তিনি।
advertisement
অলিম্পিকে স্বর্ণপদক নেই জোকারের। বেজিং অলিম্পিকে ব্রোঞ্জ পদক জিতেছিলেন। আগেই জিতে নিয়েছেন ফরাসি ওপেন, অস্ট্রেলিয়ান ওপেন, উইম্বল্ডন। তার পরের প্রতিপক্ষ আলেকজান্ডার জেভেরেভ বা জেরেমি চর্ডির ভেতর একজন। অলিম্পিকে স্বর্ণ পদক পেলে গোল্ডেন স্ল্যাম জিতবেন তিনি। একটি ক্যালেন্ডার বছরে চারটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম এবং অলিম্পিক সোনা জয়ের নজির রয়েছে একমাত্র স্টেফি গ্রাফের।
এরপর যদিও ইউএস ওপেন বাকি। অতএব অলিম্পিক সোনা এবং ইউএস ওপেন জিতলে প্রথম পুরুষ টেনিস খেলোয়াড় হিসেবে এই নজির করবেন নোভাক জোকোভিচ। এমনিতে জোকোভিচ জাপানে আসার আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন স্বর্ণপদক জেতাই তার একমাত্র লক্ষ্য। একমাত্র অলিম্পিকের সোনা নেই তার ক্যাবিনেটে।
এই মুহূর্তে জীবনের সেরা ছন্দে রয়েছেন। কয়েকদিন আগে রাশিয়ার মেদভেদেভ যখন দুপুর বেলা প্রচন্ড রোদে আয়োজকদের টেনিস ম্যাচ রাখা নিয়ে প্রতিবাদ করেছিলেন, তখন সমর্থন দিয়েছিলেন জোকার। সেই অনুরোধে কাজ হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে টেনিস ম্যাচ বিকেলের পরে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অলিম্পিক কমিটি।
খেলোয়াড়দের চেয়ারের পাশে কুলার রাখা থাকছে। তবে গরম জকোভিচের কাছে বাধা নয়।লক্ষ্যস্থির রেখে এগিয়ে চলেছেন। সার্বিয়ান তারকার বিজয়রথ কে থামাতে পারেন সেটাই দেখার।দেখে তো মনে হচ্ছে এই টুর্নামেন এমন কেউ নেই যে থামাতে পারে নোভাক জকোভিচের স্বপ্নের দৌড়। স্বর্ণপদক যেন তার অপেক্ষায় আছে।
