সেমিফাইনালেই আলেকজান্ডার জেভেরভের কাছে হেরে গিয়েছিলেন জকোভিচ। এবার সিঙ্গলস ব্রোঞ্জ পদক ম্যাচ থেকেও বিদায় নিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, শেষ ২৪ ঘণ্টা মোটেও ভাল গেল না জোকারের। এই সময়ের মধ্যে টানা তিন ম্যাচে হেরে গেলেন টেনিসে সবচেয়ে সফল তারকাদের একজন। শনিবার পুরুষদের সিঙ্গলসে ব্রোঞ্জ পদকও জিততে পারলেন না তিনি। ব্রোঞ্জ পদক জয়ের লড়াইয়ে স্পেনের পাবলো ক্যারেনা বুস্তার কাছে ৪-৬, ৭-৬ (৮-৬), ৩-৬ সেটে হেরে গেলেন তিনি।
advertisement
ম্যাচ হারের পর কতটা হতাশ হয়েছেন জকোভিচ, তা তিনি কোর্টেই প্রকাশ করে ফেলেন। ক্যারেনা বুস্তার কাছ যখন একের পর এক সেট পয়েন্ট হারাচ্ছিলেন, তখন হতাশায় রাকেট ছুঁড়ে ফেলতেও দেখা গেছে তাকে। নেটের ধারে লোহায় রাকেট আছড়ে ভাঙার চেষ্টা করেন তিনি। গোল্ডেন স্ল্যামের আশায় টোকিও এসেছিলেন বিশ্বের নাম্বার ওয়ান টেনিস তারকা নোভাক জকোভিচ। চলতি বছর এরই মধ্যে তিনটি গ্র্যান্ড স্লামের সবগুলোই জিতে নিয়েছেন।
অলিম্পিকে টেনিসের সিঙ্গেলে কোনো সোনা জয় হয়নি সার্বিয়ান এই তারকার। ১৯৮৮ সালে কেবলমাত্র স্টেফি গ্রাফিই গোল্ডেন স্ল্যাম জয় করার কৃত্বিত্ব দেখিয়েছেলেন। জকোভিচের সামনে যদিও এখনও একটি গ্র্যান্ড স্লাম বাকি আছে। ইউএস ওপেন যদি জিততে পারেন তাহলে ক্যালেন্ডার স্ল্যাম জয়ের নজির করবেন। কিন্তু স্টেফি গ্রাফকে স্পর্শ করা হল না সার্বিয়ান তারকার।
খালি হাতেই টোকিও ছাড়তে হচ্ছে আধুনিক প্রজন্মের অন্যতম সেরা তারকাকে। ম্যাচের পর স্পেনের বুস্টাকে জড়িয়ে ধরেন তিনি। দেশ সার্বিয়ার জন্য পদক জিততে না পেরে স্বভাবতই কিছুটা হতাশ জোকার। যতই ব্যক্তিগত ইভেন্ট খেলুন, দেশের হয়ে সাফল্য অন্যরকম অনুভূতি। কিন্তু কপালে না থাকলে কি করা যাবে?
