টোকিওর ককোগিকান এরিনায় বৃহস্পতিবার দুপুরে নজর ছিল তামাম ভারতীয় ক্রীড়াপ্রেমীদের। দ্বিতীয় ম্যাচে বক্সিং রিংয়ে নামছেন মেরি কম। লক্ষ্য থাকাটাই স্বাভাবিক। কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী ভারতের বক্সিং রানীর জয় দেখতে মুখিয়ে ছিল সকলে। আজ জিতলেই কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা নিশ্চিত হয়ে যেত ছয় বারের বক্সিং বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের। শেষ ম্যাচে ডোমিনিকা মিগুয়েলিনার বিরুদ্ধে ৪-১ জয় পেয়েছিলেন মেরি। সেদিন প্রথম থেকে কিছুটা ডিফেন্সিভ স্ট্যাটিজি অবলম্বন করেছিলেন। শেষ রাউন্ডের জন্য বাঁচিয়ে রেখেছিলেন যাবতীয় শক্তি।
advertisement
কিন্তু অভিজ্ঞতায় মিগুয়েলিনার থেকে অনেক এগিয়েছিলেন ইনগ্রিট ভ্যালেন্সিয়া। রিও অলিম্পিকে মেরি কম কোয়ালিফাই করতে পারেননি। কিন্তু ভ্যালেন্সিয়া ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন। প্যান আমেরিকা চ্যাম্পিয়নশিপে স্বর্ণপদক পেয়েছিলেন কলম্বিয়ান বক্সার। মেরির বয়স যেখানে ৩৮, ভ্যালেন্সিয়ার ৩২। দুজনের শেষ সাক্ষাতে অবশ্য রাশিয়ায় জিতেছিলেন মেরি।
এমনিতে এটাই ভারতীয় কিংবদন্তি বক্সারের শেষ অলিম্পিক সেটা জানাই ছিল। মেরি পদক না নিয়ে দেশে ফিরতে চান না বহুবার বলেছিলেন। করোনা মহামারীর মধ্যেও পরিবার ছেড়ে নিজের প্রস্তুতি নিয়ে গিয়েছেন। শুধু অলিম্পিক স্বর্ণপদক পাওয়ার জন্য। তাই জয় ছাড়া অন্য কোনো রাস্তা ছিল না মেরি কমের কাছে। তবে দুজনেই একে অপরের স্টাইল সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ছিলেন।
মেরির জ্যাব, কাট, কম্বিনেশন পাঞ্চ যে বড় শক্তি সেটা জানতেন ভ্যালেন্সিয়া। অন্যদিকে ভ্যালেন্সিয়ার উচ্চতা, শক্তি এবং দ্রুত ফুটওয়ার্ক সম্পর্কে জানতেন মেরি। তাই লড়াই শুরুর আগে কেউ ফেভারিট ছিলেন না। দেখার ছিল প্রায় চল্লিশ ছুঁতে চলা মেরি লাতিন আমেরিকান বক্সারের বিরুদ্ধে এঁটে উঠতে পারেন কিনা। কারণ শেষ সাক্ষাতে পরাজয়ের বদলা নিতে মুখে ছিলেন ভ্যালেন্সিয়া।মেরি কম বিদায় নিলেন, কিন্তু পেছনে রেখে গেলেন এক জীবন্ত ইতিহাস। যা আগামী দিনে তরুণ বক্সারদের উঠে আসতে সাহায্য করবে।