তিন বারের সাক্ষাতে এই প্রথম ইংগ্রিটের কাছে হারলেন তিনি। যদিও ম্যাচের পর হাত তুলে উচ্ছ্বাস করতে থাকেন মেরি। ভেবেছিলেন তিনিই জিতেছেন। একটু পরেই ভুল ভাঙে। বুঝতে পারেন কলম্বিয়ার প্রতিপক্ষের জয় ঘোষণা করা হয়েছে। শুরু থেকেই দুজন আরেকজনকে পাঞ্চ, আপার কাট, লাগাতার চালিয়ে যায়। ভ্যালেন্সিয়াক প্রথম রাউন্ডে ৪-১ এ এগিয়ে যায়। মণিপুরের মেরি কম দুর্দান্ত ফর্মে ফিরে এসে ৩-২ এ দ্বিতীয় সেট নিজের নামে করে নেন।
advertisement
প্রথম রাউন্ডে বড় ব্যবধানে এগিয়ে যাওয়ার ফলে ভ্যালেন্সিয়ার শেষপর্যন্ত পদক জয়ে ক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়ে যায়। ভারতীয় বক্সার মেরি কম তৃতীয় রাউন্ড এ ডান হুক খুব ভাল ব্যবহার করেছেন। মেরি কম ২০১৯ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে কোয়ার্টার ফাইনালে এর আগে ভ্যালেন্সিয়াকে হারিয়েছিলেন। কলম্বিয়ার এই বক্সার প্রথমবার মেরি কমকে হারাতে সক্ষম হলেন। বিদায় অলিম্পিক। বিদায় মেরি কম। সেই সঙ্গেই পরিসমাপ্তি ভারতীয় বক্সিংয়ের এক বর্ণোজ্জ্বল অধ্যায়ের।
টোকিও অলিম্পিকে কলম্বিয়ার বক্সারকে জয়ী ঘোষণা করতেই অলিম্পিকে ইতিহাস হয়ে গেলেন ভারতীয় বক্সার। হেরে গেলেন মেরি কম। সেই সঙ্গে দেশের হয়ে শেষবারের মতো অলিম্পিকে পদক জয়ের তাঁর স্বপ্ন থেমে গেল। হেরে যাওয়ার পর যখন মেরির ঠোঁটে মৃদু হাসির পাশাপাশি চোখে জল, তখন কাঁদছে গোটা দেশের শতকোটি মানুষ। এই পরাজয় কিছুতেই স্বীকার করতে পারেননি মেরি।
ম্যাচের পর সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, “দুর্ভাগ্যজনক ম্যাচ। দুর্ভাগ্যজনক সিদ্ধান্ত। বিচারকরা আগেই বলে দিয়েছিল ওরা কোনও রকম প্রতিবাদ বরদাস্ত করবে না। ভেবেছিলাম পদক নিয়ে ফিরব। কিন্তু আজ যে কোথায় ভুল হল সেটা বুঝতে পারিনি। এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না যে ম্যাচটা হেরে গিয়েছি। তবে ৪০ বছর বক্সিং করতে চাই।”
বিশ্বস্ত সূত্রের খবর মেরি কমের ম্যাচ শুরু হওয়ার আগেই নাম লেখা পছন্দের জার্সি তাকে পড়তে দেওয়া হয়নি। ইন্ডিয়ান অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন সঠিক জায়গায় প্রতিবাদ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রাক্তন ক্রীড়া মন্ত্রী কিরন রিজিজু ট্যুইট করে বলেছেন বিচারকদের পয়েন্ট দেওয়ার প্রক্রিয়া বোঝার বাইরে।