পরিষ্কার জানিয়েছেন যখন দায়িত্ব নিয়েছিলেন তখনই জানতেন প্রতিভার অভাব নেই ভারতে। দরকার সঠিক মানসিকতা এবং ট্যাকটিক্যাল অস্ত্র। এই দুটো জিনিসের ওপরই নির্ভর করে আধুনিক হকির সাফল্য। নিরন্তর কাজ করে গিয়েছেন এই দুটি জায়গায় উন্নতি করতে। অলিম্পিকে আসার আগে ফর্মে থাকা ফরওয়ার্ড আকাশদীপ, অভিজ্ঞ সুনীলদের ছাড়াই দল করেছিলেন। কিছু প্রশ্ন উঠেছিল। তবে আজকের পর সব প্রশ্নের জবাব পাওয়া হয়ে গিয়েছে সমালোচকদের।
advertisement
তাঁকে দ্রোণাচার্য পুরস্কার দেওয়ার দাবি উঠে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। রিড অবশ্য এসব নিয়ে ভাবছেন না। ইতিহাস স্পর্শ করে তিনি মনে করেন দলের প্রত্যেকের আত্মত্যাগ, পরিশ্রম এবং নিজেদের ছাপিয়ে যাওয়ার তাগিদ এই সাফল্য এনে দিয়েছে। ভারতীয়রা মানসিক দিক থেকে প্রচন্ড শক্ত মনে করেন তিনি। কিন্তু এই বিশ্বাসটা দলের মধ্যে ঢোকানো ছিল তার প্রধান কাজ।
তিনি জানেন ভারতবর্ষের হকির পালে নতুন হাওয়া লাগল আজকের পর থেকে। সুমিত, হরমন, মনদিপ, মনপ্রীতদের নাম আজ দেশের সব ঘরে। রিড মনে করেন শেষ পর্যন্ত লড়াই করে যেতে হয় মাঠে। এটাই নিয়ম। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত নিজেদের ওপর বিশ্বাস রাখা সাফল্য পাওয়ার প্রাথমিক শর্ত। তিনি জানতেন এই ছেলেরা আঘাত খেলে, প্রত্যাঘাত করতে জানে। সেটাই আজ প্রমাণ হয়েছে।
নিজে বার্সেলোনা অলিম্পিকে রূপো জয়ী অস্ট্রেলিয়ান দলের সদস্য ছিলেন। জানেন পদক পাওয়া আর না পাওয়ার মধ্যে তফাৎ কতটা। নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে ছেলেদের তৈরি করেছিলেন। আজ তিনি সফল। তার ভাবনা সোনা ফলিয়েছে। চার দশক পর ভারতের হকি পোডিয়াম ফিনিশ করেছে। গ্রাহাম রিডকে দ্রোণাচার্য পুরস্কার দেওয়ার দাবি ওঠা অমূলক নয়।