৮-০ ব্যবধানে জিতে ব্রোঞ্জ নিশ্চিত করলেন ভারতের পুরুষ কুস্তির এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় নাম। আশা জাগিয়েও সোনার স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল কুস্তিগির বজরং পুনিয়ার। ফ্রিস্টাইলের ৬৫ কেজি সেমি-ফাইনালে তিনি হেরেছিলেন তিনবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আজারবাইজানের হাজি আলিয়েভের কাছে। রিও ওলিম্পিকসে ব্রোঞ্জ পেয়েছিলেন হাজি। ৫-১২ ব্যবধানে হারেন ভারতীয় কুস্তিগিরের। দু’বছর আগে পেশাদার কুস্তি লিগে মুখোমুখি সাক্ষাতে জিতেছিলেন পুনিয়া। টোকিওর মঞ্চে আলিয়েভের বাধা টপকাতে পারলেন না হরিয়ানার এই কুস্তিগির।
advertisement
সোনা ও রুপোর দৌড় থেকে ছিটকে গেলেও ব্রোঞ্জের লড়াইয়ে ছিলেন পুনিয়া। যদি তিনি ব্রোঞ্জ পেতেন তাহলে ২০১২ লন্ডন গেমসের পুনরাবৃত্তি ঘটত। সেবার সুশীল কুমার ও যোগেশ্বর দত্ত যথাক্রমে রুপো ও ব্রোঞ্জ পেয়েছিলেন। টোকিওতে ভারতের পুরুষ কুস্তিতে রুপো জিতে পদকের খাতা খোলেন রবি কুমার দাহিয়া (৫৭ কেজি)। শুক্রবার সেমি-ফাইনাল বাউটে প্রথম পয়েন্ট তুলে নেন বজরং।
যদিও প্রথম পিরিয়ডে পরপর দু’পয়েন্ট সংগ্রহ করে ৪-১ পয়েন্টের লিড নেন আলিয়েভ। পিছিয়ে থেকে বজরং বিপক্ষের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। কিন্তু কৌশলী লড়াইয়ে বিপক্ষকে সুবিধা করতে দেননি হেভিওয়েট আলিয়েভ। তাঁর শক্তিশালী বডি লকে আটকে যান বজরং। দ্বিতীয় পিরিয়ডে বিদেশি কুস্তিগির মোট আট পয়েন্ট সংগ্রহ করলেও বজরং চার পয়েন্টের বেশি সংগ্রহ করতে পারেনি।
ভারতীয় কুস্তিগিরের লেগ ডিফেন্সের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে ফায়দা তোলেন আজারবাইজানের কুস্তিগির। দেখার ছিল ব্যর্থতা ভুলে বজরং আজ ব্রোঞ্জ জিততে পারেন কিনা। তাঁকে পদক জয়ের ব্যাপারে অন্যতম ফেভারিট ধরা হয়েছিল। জর্জিয়ার কোচের সঙ্গে ট্রেনিং করেছিলেন দীর্ঘদিন।পদক নিয়ে ফিরলেন তিনি। লন্ডন অলিম্পিকের ৬ পদকের সমান পদক জিতল ভারত।
