দেশের জন্য ব্রোঞ্জ পদক নিয়ে আসলেও কিছুটা মন খারাপ লাভলিনার। আলি বলেন, "দেশের জন্য সোনা জিততে না পারার কারণে ও ক্ষমা চেয়ে নিয়েছে। আসলে অলিম্পিক গেমসে বক্সিং থেকে আগে দুবার ব্রোঞ্জ পদক জিতেছে ভারত। ২০০৮ সালে বিজেন্দ্র সিং ও ২০১২ সালে মেরি কম। তাই লাভলিনা চেয়েছিলেন টোকিও অলিম্পিকে পদকের রং বদলাতে। ফাইনালে ওঠার লক্ষ্যে শেষ ৪ দিন কঠোর পরিশ্রমও করেছিল। প্রতিপক্ষের ভিডিও দেখিয়ে ওকে ট্রেনিং করানো হয়। তবে ম্যাচে কিছুটা পারফরমেন্সে খামতি থেকে গেছে। তবে প্রথমবার অলিম্পিকে গিয়েই দেশকে পদক নিয়ে আসতে পারার কারণে উচ্ছ্বসিত লাভলিনা।" মাত্র ২৩ বছর বয়সেই অলিম্পিকে পদক এনে দেওয়ার লাভলিনা পরবর্তী অলিম্পিকে পদক পেতে পারেন বলে দাবি করেন আলি কামার। ২০০২ সালে ম্যানচেস্টার কমনওয়েলথ গেমসে সোনা জয়ী প্রাক্তন বক্সার আলি কামারের মতে, "একজন সেরা বক্সারের যা যা গুণ থাকা দরকার লাভলিনার মধ্যে সেই সবকিছু রয়েছে। ওর উচ্চতা ওর প্লাস পয়েন্ট। দেশের সেরা বক্সারদের মধ্যে অন্যতম। চলতি অলিম্পিক্সের অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে ভবিষ্যতে। মাত্র তিন বছর পরেই আবার অলিম্পিক্স। এখন থেকে পরিশ্রম করলে পরবর্তী অলিম্পিকেও লাভলিনা দেশকে সাফল্য এনে দিতে পারবে।"
advertisement
বক্সিংয়ের ৬৯ কেজি বিভাগ সেমিফাইনালে লাভলিনার প্রতিপক্ষ ছিল তুরস্কের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ক্রমতালিকায় এক নম্বরে থাকা প্রতিযোগী সুরমেননিল। ৫-০ ব্যবধানে হারতে হয় লাভলিনাকে। ঠিক কোথায় ভুল হলো ভারতীয় বক্সারের? কোচ আলির মতে, "প্রথম রাউন্ডে পরিকল্পনা অনুযায়ী লাভলিনা খেলেছিল। বাকি দুটো রাউন্ডে সেভাবে পাঞ্চ করতে পারেনি। শেষে চারদিন ধরে বিপক্ষের সমস্ত ভিডিও দেখে ও তৈরি হয়েছিল। তবে সব সময় ম্যাচের মুহূর্তে পরিস্থিতি অনেকটা আলাদা হয়। আজকের দিনটা হয়তো লাভলিনার ছিল না। ও সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে। দেশকে পদক এনে দিয়েছে। ওর সাফল্যে আমরা সবাই খুশি।"
ERON ROY BURMAN