তোশহিরো মুতো জানিয়েছেন এমনকি এই ধরণের কোনও বিষয় আলোচনাও করা হয়নি৷ মুতোর দাবি অনুযায়ি যেসব দেশে করোনা সংক্রমণ অত্যধিক মাত্রায় সেখান থেকে ক্রীড়াবিদ , কোচ ও আধিকারিকদের যে দল আসবে তারা যেন সকলেই করোনা টিকা নিয়ে তবেই জাপানে আসেন৷ জাপানে অলিম্পিক্স শুরু হচ্ছে ২৩ জুলাই থেকে৷
টোকিও গেমসের সর্বোচ্চ আধিকারিক জানিয়েছেন , ‘‘আমরা এটা কখনই শুনিনি, এটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীণ৷ এটাকে একটা প্রস্তাব হিসেবেও কখনও গ্রাহ্য করা হয়নি৷’’
advertisement
‘‘ভারতের নতুন প্রজাতি নিয়ে ভয় রয়েছে৷ তাই তাঁরা জাপানে আসার আগে পুরোপুরি ভ্যাকসিন নেওয়া থাকতে হবে৷ আমরা যে পলিসি নিয়েছি তাতে ১০০ শতাংশ ভ্যাকসিনেশন প্রস্তাবিত এবং প্রয়োজন৷ ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, বাংলাদেশ এবং এদের সঙ্গে সম্পর্কিত দেশগুলির ক্ষেত্রে৷ ’’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘‘তাই তাদের IOC-র সঙ্গে কথা বলা দরকার জাপানে ঢোকার আগে ১০০ শতাংশ টীকাকরণের বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য৷ ’’
তিনি এও উড়িয়ে দিয়েছেন এরকম কোনও আলোচনা করা হয়নি যে জাপানের অলিম্পিক্স ফের একবার পিছিয়ে যাবে বা বাতিল করা হবে৷ কারণ করোনা ভাইরাস অতিমারির জন্য ইতিমধ্যেই একবছর পিছিয়ে গেছে Olympic ও Paralympic Games৷
মঙ্গলবার মালয়শিয়ায় প্রকাশিত খবরে জানা গিয়েছিল জাপান সরকার অলিম্পিক অর্গানাইজিং কমিটিকে বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছিল যে যে ১০ টি দেশে করোনা সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত তাদের দেশ থেকে অ্যাথলিট আসা বন্ধ করতে হবে৷ এরপরেই দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার এই দেশগুলির মধ্যে প্রচণ্ড চিন্তা শুরু হয়ে যায়৷ চার বছর বাদে বিশ্বের সেরা ইভেন্টের জন্য প্রস্তুতি সারেন সমস্ত দেশের অ্যাথলিটরা৷
মালয়শিয়া ও ভারত ছাড়া এই রিপোর্ট অনুযায়ি দেশগুলি ছিল পাকিস্তান, নেপাল, বাংলাদেশ, মলদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান , ভিয়েতনাম ও ইউনাইটেড কিংডম বা ব্রিটেন৷