যদিও এটা মানতে হবে ভারতে বেশ কিছু মানুষ তাঁর ওপর আশা করছেন। কেরলের সাঁতারু সজন প্রকাশের নামটি দেশের মানুষের কাছে এখন একেবারেই অজানা নয়। রিও ওলিম্পিকসের ২০০ মিটার বাটারফ্লাইয়ে নেমেছিলেন তিনি। শেষ করেছিলেন ২৮নম্বরে। ওই ইভেন্টে সোনা জিতেছিলেন বিশ্ব সাঁতারের সুপারস্টার আমেরিকার মাইকেল ফেল্পস। সেবার গেমসে হতাশ করলেও নিজের ইভেন্টে পরবর্তীকালে সজন ভালো পারফরম্যান্স করেন।
advertisement
২০১৮ সালের জুলাইয়ে চিনের গুয়াংঝুতে তিনি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপেও যোগ্যতা অর্জন করেছিলেন। সেখানেই ঘাড়ে ও কাঁধে মারাত্মক চোট পান। তাঁর মেরুদণ্ডে স্লিপ ডিক্সের সমস্যাও দেখা যায়। একটা সময়ে তাঁর কেরিয়ারই অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। চিকিৎসার পর শুরু হয় রি-হ্যাব। যখন সজনের সুইমিং পুলে ফের নামার কথা (২০১৯ সালের মার্চে), শুরু হয় করোনার প্রকোপ। হতাশ সজন প্রকাশ একসময় অবসরের চিন্তাভাবনা শুরু করেন।
কিন্তু তাঁর ফোকাস ঠিক রাখতে বড় ভূমিকা নেন কোচ প্রদীপ কুমার। কোচের পরামর্শেই তিনি ঘুরে দাঁড়ান। রোমে আয়োজিত প্রতিযোগিতায় ১ মিনিট ৫৬.৩৮ সেকেন্ড সময় করে টোকিও ওলিম্পিকসে প্রথম ভারতীয় সাঁতারু হিসেবে যোগ্যতা অর্জন করেন।
তিনি বলেছেন, ‘এইভাবে ফিরে আসার জন্য আমি কোচের কাছে কৃতজ্ঞ। অথচ আমি সাঁতারকে বিদায় জানিয়ে কেরল পুলিসের চাকরিতে আরও ভালোভাবে মনোনিবেশ করতে চেয়েছিলাম। কোচ বারবার দেশের প্রতি দায়বদ্ধতার কথা বলতেন। তাই পুলে ফিরে আরও বেশি করে ফোকাস করেছিলাম। তাই টোকিও ওলিম্পিকসে নিজের সেরাটা দিতে চাই।’
কেরল পুলিশে গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা সজন জানিয়েছেন দেশের জন্য নিজেকে উজাড় করে দেবেন। কিন্তু আমেরিকা, চিন, জাপান এতটাই এগিয়ে, সাঁতারে ভারতের বিরাট সম্ভাবনা বলা যাবে না।কিন্তু কথায় বলে চেষ্টার ফল পাওয়া যায়। তাই লড়াই যতই কঠিন হোক, ১ ইঞ্চি পিছিয়ে আসবেন না সজন।
