করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় দেশজুড়ে লকডাউন চলছে। বন্ধ দেশের সব খেলা। এক বছর পিছিয়ে গেছে অলিম্পিক। ক্রিকেট,ফুটবল সহ সব খেলাই অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে গেছে। বন্ধ রয়েছে সাইয়ের সমস্ত কেন্দ্র। ফলে সল্টলেক ছেড়ে জলপাইগুড়িতে পাতাকাটা ঘোষপাড়ায় নিজের বাড়িতে চলে গেছেন স্বপ্না বর্মন। নিজের বাড়িতেই পরিবারের সঙ্গে গৃহবন্দি রয়েছেন স্বপ্না। অবসর সময় বাড়িতে ফিটনেস করার পাশাপাশি অনলাইনে স্পোকেন ইংলিশ শিখছেন এশিয়ান গেমসে সোনাজয়ী স্বপ্না বর্মন। মাঝেমধ্যে দাদার ছেলেদের সঙ্গে খুনসুটি করছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেইসব ভিডিও পোস্ট করছেন।
advertisement
প্রান্তিক মানুষদের সাহায্য করার ব্যাপারে স্বপ্না জানান, "আমি নিজে দরিদ্র পরিবারের মেয়ে। বাবা রিক্সা চালাতেন। একদিন বাবা কাজে যেতে না পারলে আমাদের খাবার জুটত না। আমি বুঝি মানুষের কষ্ট, খিদের জ্বালা। লকডাউনের জেরে গরিব মানুষ কাজে যেতে পারছেন না। আর্থিক অনটনের ভুগছেন। তাই আমার সাধ্যমত দিয়ে চেষ্টা করলাম অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে।" প্রান্তিক মানুষদের নিজের হাতে জরুরী সামগ্রী তুলে দেন স্বপ্না। টোটো করে সমস্ত সামগ্রী নিয়ে নিজেই পাড়ায় পাড়ায় বেরিয়ে পড়েন বাংলার সোনার মেয়ে। মুখে মাস্ক পড়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বন্টন করেন খাবার।
নিজের হাতে সমস্ত চাল, ডাল, আলু বন্টন করে প্যাকেট তৈরি করেন স্বপ্না। জলপাইগুড়িতে নিজের বাড়ির পাশে বিভিন্ন পাড়াতে ত্রাণ তুলে দেন তিনি। চা বাগানের অসহায় শ্রমিকদের সাহায্য করেন। প্রথমবার এরকম সাহায্য করলেন স্বপ্না বর্মন। ছোটবেলা এরকম সাহায্য পেয়েছেন অনেক সময়। তাই নিজের পায়ের তলার মাটি শক্ত হওয়ার পর সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন স্বপ্না। মেয়ের এই কাজে খুশি বাবা পঞ্চানন বর্মন। স্বপ্না আবেদন করেন আরও কিছু মানুষ যদি গরীবদের সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেন তাহলে উপকার হবে। লকডাউন মেনে সমস্ত মানুষকে ঘরে থাকার বার্তা দেন স্বপ্না বর্মন।
ERON ROY BURMAN