কিন্তু দ্বিতীয় সেটে ছন্দপতন। সমানে সমানে লড়াই করে দ্বিতীয় সেট টাইব্রেকারে ৭-৬ জিতে নেন কিচনক জুটি। যা হওয়ার ছিল হত তৃতীয় সেটে। কিন্তু যত ম্যাচ এগোল ততই যেন জাঁকিয়ে বসল ইউক্রেন তারকারা। তৃতীয় সেট শেষ হল ৮-১০ হার দিয়ে। আশা জাগিয়েও ব্যর্থ সানিয়া অঙ্কিতা জুটি। বয়স বেড়েছে, পাল্লা দিয়ে বেড়েছে অভিজ্ঞতা। শিখেছেন সংযমী হতে। আবেগে নিয়ন্ত্রণ করতে শিখেছেন। কিন্তু টেনিস কোর্টে নামলে জয় ছাড়া এখনও অন্য কিছু চিন্তা করতে পারেন না সানিয়া মির্জা।
advertisement
দীর্ঘদিন প্রতিযোগিতামূলক টেনিস সেভাবে খেলা হয়নি। টোকিওতে পার্টনার অঙ্কিতা রায়নার সঙ্গে তবুও সফল হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী ছিলেন ছয়বারের গ্র্যান্ডস্ল্যাম জয়ী সানিয়া মির্জা। মা হয়েছেন, কবজি এবং হাঁটুতে তিনটি অস্ত্রোপচার হয়েছে। তবুও জাপানে পদক জয়ের লক্ষ্যে নিজেকে তৈরি করেছেন বিগত কয়েক মাস ধরে। গত বছর মার্চ মাসে বিলি জিন কিং কাপে এই জুটি খেলেছিল শেষবার। সেবার সবকটা ম্যাচ জিতেছিল সানিয়া - অঙ্কিতা জুটি। কিন্তু এ বছর সব মিলিয়ে মাত্র ৮ টি ডাবলস ম্যাচ খেলেছেন সানিয়া। তাই কিছুটা প্রস্তুতির খামতি ভোগাতে পারে।সে আশঙ্কা সত্যি হল।
শনিবার প্রথম ম্যাচে ইউক্রেনের জুটির সামনে তাই লড়াইটা একেবারেই সহজ ছিল না। দুর্ধর্ষ ফর্মে ছিলেন ইউক্রেন জুটি। নেট প্লে এবং সার্ভ করার ক্ষেত্রে কিছুটা বদল এনেছেন সানিয়া। সেটা আজ স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল। অঙ্কিতাকে গাইড করে নিয়ে গেলেন অভিজ্ঞতা দিয়ে। বিপক্ষ দলের শক্তি দুর্বলতা জেনেছেন। তিনি জানিয়েছেন
টোকিও গেমসে অংশগ্রহণকারী ভারতীয় প্রতিযোগীদের প্রস্তুতিতে দারুণভাবে সাহায্য করেছে কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রক।
উন্নত পরিকাঠামো ও সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়েছে, যাতে আমরা টোকিওতে সেরাটা উজাড় করে দিয়ে বেশি সংখ্যক পদক জিততে পারি। এবার আমাদের দেশকে ফিরিয়ে দেওয়ার পালা। সত্যি শক্তিশালী ইউক্রেন প্রতিপক্ষকে সানিয়ারা হারাতে পারেন কিনা সেটাই ছিল দেখার। কিন্তু পারলেন না। প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায়।সানিয়া ভক্ত এবং ভারতের টেনিস প্রেমীদের হতাশ হওয়ার দিন।
