তবে ভারতীয় তারকা মনে করেন এই পর্যায়ে কোনও লড়াই সহজ নয়। অলিম্পিক খেলতে আসা প্রতিদ্বন্দী নিজেদের ছাপিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। তাই নিজের সেরাটা দেওয়া ছাড়া দ্বিতীয় রাস্তা নেই। সিন্ধুর প্রথম ম্যাচ ২৫ জুলাই পলিকারপভার বিরুদ্ধে। জিতেই শুরু করতে মরিয়া ভারতের পদক জয়ের অন্যতম প্রধান ভরসা। জাতীয় দলের মুখ্য প্রশিক্ষক পুল্লেলা গোপীচন্দকে ছেড়ে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই গাচ্চিবৌলি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে কোরিয়ান প্রশিক্ষক পার্ক তায়ে সাংয়ের কাছে অনুশীলন করছেন সিন্ধু।
advertisement
গত বছর করোনার জন্য অলিম্পিক্স বাতিল হয়ে গেলেও সিন্ধু কিন্তু পরিশ্রমে খামতি রাখেননি। অলিম্পিক্স অভিযানে উড়ে যাওয়ার আগে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটিয়ে যেন আরও আত্মবিশ্বাসী ২৬ বছরের এই ব্যাডমিন্টন তারকা। আগামী ২৩ জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে অলিম্পিক্স। এবার মহিলাদের সিঙ্গলস বিভাগে তিনিই দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করছেন। তাঁর প্রতি যে সবার প্রত্যাশা রয়েছে, সেটা ২৬ বছরের এই অ্যাথলিট জানেন।
তাঁর কথায়, “দেশের জার্সি গায়ে চাপিয়ে সব সময় সেরা ফল করার চেষ্টা করেছি। এবারও সেই ধারা বজায় থাকবে। রিও-তে অল্পের জন্য সোনা হাতছাড়া করেছিলাম। এ বার সেই দুঃখ মেটাতে চাই।” পুরুষদের বিভাগে সাই প্রণীত, সাত্ত্বিক, চিরাগ- এরা প্রত্যেকেই জিতে পরের পর্বে যেতে চান। প্রথমেই চিনা তাইপেই প্রতিদ্বন্দ্বীর বিরুদ্ধে খেলতে হবে এঁদের।
সিন্ধু আগেই জানিয়েছিলেন এবার লকডাউনের সময়টা তিনি কাজে লাগিয়েছেন একটি বিশেষ শট রপ্ত করার জন্য। এবার নাকি টোকিওতে সেটাই হতে চলেছে তাঁর প্রধান অস্ত্র। কিন্তু কোর্টে নামার আগে রহস্য বজায় রেখে দিয়েছেন। তিনি জানেন গোটা দেশের প্রত্যাশা রয়েছে তাঁর ওপর। কিন্তু এমন প্রত্যাশার চাপ আগেও সামলেছেন। তাই ওসব নিয়ে চিন্তিত নন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন সিন্ধুর পদক নিশ্চিত। তবে রুপো থেকে সোনা হয় কিনা সেটাই দেখার।
