সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন টোকিওতে সোনার পদক জেতাই ছিল আসল লক্ষ্য। কিন্তু সেমিফাইনালে তাই জু ইং - এর কাছে হেরে গিয়ে সেই স্বপ্ন মাটি হয়ে যায়। সেই রাতে বাড়িতে ফোন করে মায়ের কাছে কেঁদেছিলেন অনেকক্ষণ। তবে বাবা জাতীয় দলের হয়ে ভলিবল খেলেছেন, মাও রাজ্যস্তরে খেলেছেন। কাজেই দুজনেই জানতেন সোনা হারানোর কথা মাথায় রাখলে ব্রোঞ্জ পদক হারাতে হবে। তাই মেয়েকে পরামর্শ দেন, দুঃখ ভুলে গিয়ে ব্রোঞ্জ জয়ের লক্ষ্যে ঝাঁপাতে। মা-বাবার সেই পরামর্শ কাজে দিয়েছে।
advertisement
অলিম্পিক এবং বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ মিলিয়ে মোট সাতটি পদক রয়েছে তাঁর। প্রথম ভারতীয় মহিলা হিসেবে দুটি অলিম্পিক পদক। পুরুষদের মধ্যে এই নজির একমাত্র ছিল সুশীল কুমারের। সিন্ধু মনে করেন নতুন দক্ষিণ কোরিয়ান কোচ পার্ক তাই সাং বিরাট অবদান রেখেছেন তাঁর পদক জয়ের পেছনে। গত এক বছর ধরে পার্ক ধরে ধরে দুর্বলতা বের করেছেন। তারপর সেই দুর্বলতা ঢাকার প্রস্তুতি চলেছে গাচিবউলি স্টেডিয়ামে।
তেলেঙ্গানা সরকার যেভাবে এই স্টেডিয়ামে অনুশীলন করার জন্য তাঁকে বিশেষ অনুমতি দিয়েছিল, তার জন্য কৃতজ্ঞ সিন্ধু। তবে আগামী দিনে এই সাফল্য তাঁকে আরও ভাল পারফর্ম করতে মোটিভেট করবে স্পষ্ট জানাচ্ছেন ভারতের ব্যাডমিন্টন কুইন। শুধু নিজের সাফল্য নয়, টোকিওতে ভারতের ইতিহাসে সর্বোচ্চ পদক জয় একটা অন্যরকম বার্তা দেয় বলছেন তিনি।
মন থেকে বিশ্বাস করেন তিন বছর পর প্যারিসে ভারতের পদক সংখ্যা আরো বাড়বে। নিজেকে প্যারিস অলিম্পিকের জন্য প্রস্তুত রাখবেন। পাশাপাশি জানিয়ে রাখলেন বেছে বেছে টুর্নামেন্ট খেলবেন। এশিয়ান গেমস এবং কমনওয়েলথ গেমসে পদক জয়ের চেষ্টা থাকবে।