শুধু তাই নয়, জরুরি অবস্থার অধীনে আইচি ও ফুকুওকাকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। এক সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত আবার বদলাতে হল জাপান সরকারকে। নতুন করে আরও তিনটি অঞ্চলে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। মে মাসের শেষপর্যন্ত জরুরি অবস্থার আওতায় থাকা অঞ্চলগুলোর মধ্যে নাম আছে উত্তর হোক্কাইডো অঞ্চল। ২০২০ টোকিও অলিম্পিকের ম্যারাথন পর্বটা এখানেই হওয়ার কথা ছিল। করোনা সংক্রমণের কারণেই অলিম্পিক এক বছর পিছিয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখন যে পরিস্থিতি, ২৩ জুলাই থেকে শুরু হতে যাওয়া অলিম্পিক এবারও হয়তো আলোর মুখ দেখবে না।
advertisement
এর মাঝেই অলিম্পিক গেমস বাতিল করার জন্য গণস্বাক্ষর সংগ্রহের এক পিটিশন শুরু করা হয়েছে। আয়োজক কমিটির জন্য দুশ্চিন্তার বিষয় হল, এরই মাঝে সাড়ে তিন লাখের বেশি সই জোগাড় করে ফেলেছে অলিম্পিক আয়োজনের বিরোধীপক্ষ। এএফপির খবরে জানানো হয়েছে তিনটি অঞ্চলের বিপুল জনসংখ্যাই এ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেছে কর্তৃপক্ষকে। জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইওশিহিদে সুগা বলেছেন, ‘১৬ মে থেকে ৩১ মে পর্যন্ত জরুরি অবস্থায় থাকা অঞ্চলের মধ্যে আমরা আজ থেকে হোক্কাইডো, ওকাইয়ামা ও হিরোশিমাকে যোগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এসব অঞ্চল অনেক জনবহুল এবং প্রতিদিন নতুন করে সংক্রমণের হার বাড়ছে।’
একদিকে সামর্থ্যের সীমায় থাকা দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, ওদিকে আর ১০ সপ্তাহের মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রীড়া উৎসব আয়োজনের দায়িত্ব। কিন্তু অলিম্পিকের জন্য ১০ হাজারের বেশি অ্যাথলেট ও সংশ্লিষ্ট কোচ, কর্মকর্তা ও কর্মীদের দেখভালের জন্য জাপানের স্বাস্থ্য সেবায় যে চাপ পড়বে সেটা স্বীকার করে নিয়েছেন সবাই। এ অবস্থায় অলিম্পিক আয়োজনের বিপক্ষের মত দিন দিন জোরালো হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির প্রধান, টোকিও অলিম্পিক আয়োজক কমিটির প্রধান ও টোকিওর গভর্নর সম্মিলিতভাবে বারবার অলিম্পিক আয়োজনের ব্যাপারে আশা প্রকাশ করছেন। কিন্তু দেশের সাধারণ মানুষ একেবারেই চান না জাপানে অনুষ্ঠিত হোক অলিম্পিক। তাঁদের বক্তব্য আগে জীবন, পরে খেলা।

