কিন্তু একমুহূর্ত চিৎকার থামায়নি বাচ্চাটা। একাই যেন দায়িত্ব নিয়েছিল প্রিয় তারকাকে মোটিভেট করার। অ্যাড্রিনালিন স্খলন বোধহয় বেড়ে গিয়েছিল স্বয়ং জকোভিচের।
খুদে কোচ’-এর চিৎকারে আর থাকতে পারেননি। দ্বিতীয় বার ফরাসি ওপেন জিতে ইতিহাস তৈরি করতেই ‘আসল মালিক’-কে তিনি র্যাকেট দিয়ে দিয়েছেন। আর সেই র্যাকেট পেয়ে সেই খুদের চিৎকার আরও বেড়ে গেছে। বাঁধ না মানা চোখের জল দেখে মনে হচ্ছে, ইতিহাস স্রষ্টা সেই খুদেই। নোভাক জোকোভিচ আর সেই বাচ্চা ছেলের ভিডিয়ো এখন ভাইরাল।
advertisement
কেন রোলাঁ গ্যারোজের গ্যালারিতে থাকা বাচ্চা ছেলেটির হাতে ইতিহাস তৈরি করা র্যাকেট তুলে দিলেন, তার কারণ নিজেই জানিয়েছেন জোকোভিচ। ৫২ বছর পর দু’বার করে সবকটা গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতা সার্বিয়ার এই তারকা বলেন, “পুরো ম্যাচে ওই ছেলেটা আমাকে উৎসাহ যুগিয়ে আসছিল। বিশেষ করে খেলার শুরুতে দুই সেটে পিছিয়ে থাকার সময় ওর কথাগুলো আমার মনের জোর বাড়িয়ে দেয়। ও শুধু আমাকে উৎসাহ দিয়ে থেমে থাকেনি। খেলায় ভুল করলে রীতিমতো সেই ভুলগুলো শুধরে দিচ্ছিল। আমি তো ছেলেটার টেনিস জ্ঞান দেখে মুগ্ধ। তাই খেলার শেষে র্যাকেট ওকে দিয়ে দিলাম।”
টেনিস তারকাকে কী নির্দেশ দিয়েছিল ছেলেটি ? জোকোভিচ বলেন, “শুধু তো পাগলের মতো চিৎকার নয়, ওই ছেলেটা আমাকে রীতিমতো নির্দেশ দিচ্ছিল। বলছিল, ‘তুমি সার্ভিস ধরে রাখো। প্রথম বলটা খোলা মনে মারো। তারপর বিপক্ষের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ো। যত পারো ব্যাক হ্যান্ড ব্যবহার করে যাও।’ প্রথমে ওর কথা বিশেষ পাত্তা না দিলেও পরে কিন্তু ওর নির্দেশ কাজে এসেছে। তাই এই র্যাকেটের আসল মালিক আমি নই, এই ছেলেটি।” কথায় বলে মন থেকে চাইলে ভগবানও সাড়া দেয়। বাচ্চা ছেলেটি মন থেকে সমর্থন করেছিল নিজের প্রিয় নায়ককে। সেই আবেদন ছুঁয়ে গিয়েছে জোকারকে। বাচ্চাটা আপাতত বিছানার পাশেই র্যাকেট রেখে ঘুমাবে।যে অভিজ্ঞতা নিয়ে সে বাড়ি ফিরল এমন অভিজ্ঞতা হয়তো আর কখনও হবে না।