অলিম্পিকের মত প্রতিযোগিতায় অনেক সাধনা করেও খালি হাতে ফিরতে হতে পারে। মিনারা বেগম তাতে দোষের কিছু দেখেন না। কিন্তু যেভাবে প্রণতি বিমে হতাশ করেছেন, আনইভেন বারে পা নীচে ঠেকিয়ে ফেলেছেন সেটা মানতে কষ্ট হচ্ছে মিনারার। সরাসরি দায়ী করছেন কোচ লখন মনোহর শর্মাকে। যে পরিমাণে অনুশীলন করা উচিত ছিল, তা হয়নি বলেই মনে করেন তিনি।
advertisement
ভল্ট টেবিলে কোয়ালিফায়েড হতে গেলে দুটো ভল্ট করতেই হয়। না হলে কোয়ালিফাই করার কোনও জায়গাই নেই। সেই দুটোর জায়গায় একটা ভল্ট কেন দিলেন তার ছাত্রী জানেন না মিনারা। দেখে মনে হয়েছে জাপানে গিয়ে টাইম পাস এবং ছবি তুলতেই বেশি মজেছিলেন প্রণতি।
নামেই কোচ! আসলে প্রণতির ‘ফ্রেন্ড, ফিলোজফার এন্ড গাইড’ মিনারা বেগম-ই। পোশাকি কোচের আড়ালে সযত্নে লুকিয়ে রাখেন স্নেহময়ী দিদি সত্তাকে। প্রণতির সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হচ্ছে সাইয়ের লখন মনোহর শর্মাকে। তারপরেই বেনজির টানাপোড়েনে দগ্ধ হয় ভারতীয় জিমন্যাস্টিক মহল। ১৮ বছর দীর্ঘ অনুশীলনের মাধ্যমে অলিম্পিকের জন্য প্রস্তুত করেছিলেন প্রণতিকে। ২০১৮-র কমনওয়েলথ গেমস, এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ, ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপের মত আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে মিনারা বেগমের হাত ধরেই প্রতিনিধিত্ব করেন বাংলার মেয়ে।
২০১৯-এর মঙ্গোলিয়ায় এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথমবার ব্রোঞ্জ জিতে পদকলাভ করেন। ২০১৯-এর স্টুটগার্টে পারফরম্যান্সের সুবাদে প্রণতি অলিম্পিকে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। অথচ সেই মিনারা বেগমকে অদ্ভুত কারনে টোকিওতে যেতে দেওয়া হয়নি। আজ প্রণতিকে ব্যর্থ হতে দেখে চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি। এত বছরের পরিশ্রম বৃথা গিয়েছে মনে হচ্ছে। জানেন না এর জবাব পাবেন কিনা।টোকিওতে প্রণতি কেঁদেছেন কিনা জানা নেই। কিন্তু বাংলায় বসে মিনারা বেগম চোখের জল ফেলেছেন অবিরত।
