টোকিও থেকে টেলিফোনে জাতীয় দলের মুখ্য প্রশিক্ষক জানান, "গত বছর সেপ্টেম্বরে করোনায় আক্রান্ত হয় লাভলিনা। তবে ব্যাধিকে হারিয়ে বক্সিং রিংয়ে ফেরার পর সেভাবে সাফল্য পাচ্ছিল না। বেশ কয়েকটি টুর্নামেন্টে খালি হাতে ফিরতে হয়। অনেকটাই ভেঙে পড়েন সেই সময়। সেই সময় লভলিনাকে মানসিকভাবে চাঙ্গা করা ছিল খুব গুরুত্বপূর্ণ। ওর ফিটনেস কমে গিয়েছিল। টাইমিং ঠিক হচ্ছিল না। সেই সময় সব প্রশিক্ষণই অনলাইনে হচ্ছিল। তবে অনলাইনে বক্সিং অনুশীলন হয় না। তাই সমস্যা তৈরি হয়েছিল। অলিম্পিকের আগে ইতালিতে একমাস প্রশিক্ষণ সবথেকে বেশি কাজে দিয়েছে।"
advertisement
কোয়ার্টার ফাইনালে চাইনিজ তাইপের প্রতিযোগী চেন নিয়েন চিনেরকে ৪-১ ব্যবধানে সহজে হারিয়ে সেমিফাইনালে ওঠেন লভলিনা। তবে চাইনিজ চিনেরের বিরুদ্ধে অতীত রেকর্ড লভলিনার পক্ষে একেবারে সুখকর ছিল না। চেন নিয়েন-চিনের কাছে চার বার হেরেছিলেন তিনি। কিন্তু অলিম্পিকে একেবারে অন্য মেজাজে ধরা দিয়েছেন লভলিনা।
এ দিন অসমের মুষ্টিযোদ্ধার সাফল্য ব্যাখ্যা করতে গিয়ে আলি কামার জানান, "বাকি সব ম্যাচের থেকে একদম আলাদা খেলেছে। লভলিনা নিজের উচ্চতাকে কাজে লাগিয়েছে। বেশি আক্রমণাত্মক খেলেনি। নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করে খেলেছে। ঠান্ডা মাথায় সহজে ম্যাচ জিতেছে।" লভলিনার সবথেকে প্লাস পয়েন্ট ব্যাখ্যা করতে গিয়ে আলি বলেন, "১৬ বছর বয়স থেকে ওকে কোচিং করাচ্ছি। ওর রিচ ভাল। কাউন্টার অ্যাটাক ভাল করতে পারে। কোয়ার্টার ফাইনালে এই কাজটা করেই সাফল্য পেয়েছে।"
ভারতের হয়ে ইতিমধ্যেই ব্রোঞ্জ পদক নিশ্চিত করলেও লভলিনা সোনা জয়ের লক্ষ্যে সেমিফাইনালে নামতে চান বলে জানান জাতীয় দলের মুখ্য প্রশিক্ষক বাংলার আলি কামার।
সেমিফাইনালে তুরস্কের প্রতিপক্ষ ক্রমতালিকায় লভলিনার থেকে এগিয়ে থাকলেও নিজের দিনে অসমের মেয়ে অঘটন ঘটাতে পারে বলে বিশ্বাস করেন ২০০২ সালে ম্যানচেস্টার কমনওয়েলথ গেমসে সোনা জয়ী প্রাক্তন বক্সার আলি কামার। তাই এখনই সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন না লভলিনা। সম্পূর্ণ টুর্নামেন্ট শেষ করার পরই মুখ খুলতে চান তিনি। আলি বলেন, "ব্রোঞ্জ পদক নিশ্চিত হওয়ার পর আরও খোলা মনে খেলতে পারবেন লভলিনা। কোয়ার্টার ফাইনালের পর থেকেই সেমিফাইনালে ভাবনাচিন্তা শুরু করে দিয়েছি আমরা।"