উল্লেখ্য টোকিও অলিম্পিকের আগে জুনে রাশিয়ায় একটি প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন বজরং পুনিয়া। অলিম্পিকের আগে নিজের প্রস্তুতি যাচাই করার জন্য। সেখানেই তাঁর লিগামেন্ট প্রথমবার ছিঁড়ে যায়। চিকিৎসকরা এরপর তাঁকে ভারতে আসার পরামর্শ দিলে করোনা পরিস্থিতিতে কোনও ঝুঁকি নেননি বজরং। সেই অবস্থাতেই অলিম্পিকে অংশ নিয়ে ব্রোঞ্জ জেতেন। চোটের অবস্থা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে দেশে ফিরে এমআরআই স্ক্যান করিয়েছিলেন বজরং।
advertisement
মুম্বইয়ের কোকিলাবেন ধীরুভাই আম্বানি হাসপাতালের সেন্টার ফর স্পোর্টস মেডিসিনে তিনি দেখান ডা. দিনশ পারদিওয়ালাকে। পারদিওয়ালা নিশ্চিত করেছেন, এটা লিগামেন্ট টিয়ার। এ জন্য ছয় সপ্তাহ ডা. পারদিওয়ালার তত্ত্বাবধানে বজরংয়ের রিহ্যাব চলবে। এর ফলে অক্টোবরে ২ থেকে ১০ তারিখ অবধি নরওয়েতে অনুষ্ঠেয় বিশ্ব কুস্তি চ্যাম্পিয়নশিপে নামা হবে না বজরংয়ের।
কেন না, রিহ্যাব শেষ না হওয়া অবধি ম্যাট ট্রেনিংই শুরু করতে পারবেন না তিনি। জানা গিয়েছে, চলতি বছরে বিশ্ব কুস্তি চ্যাম্পিয়নশিপ ছাড়া আর কোনও র্যাঙ্কিং সিরিজ নেই। ফলে এটা বলাই যায়, লিগামেন্টের এই চোট এই বছরের মতো সব প্রতিযোগিতা থেকেই ছিটকে দিল বজরংকে। হরিয়ানার কুস্তিগীর অবশ্য জানিয়েছেন তাড়াতাড়ি ফিরে আসবেন তিনি।
ডাক্তারের দেওয়া রুটিন মেনে বাড়িতেই নির্দিষ্ট এক্সেসাইজ করছেন। হালকা সাঁতার কাটা শুরু করবেন কয়েকদিন পর। তবে জানিয়েছেন কোনও আক্ষেপ নেই। ব্রোঞ্জ জয়ের জন্য ঝুঁকি নিয়েছিলেন। পা ভেঙে যেতে পারত। কিন্তু ঝুঁকি না নিলে অলিম্পিক পদক জেতা হত না। ভাঙা পা কয়েক মাস পর জোড়া লেগে যেত। কিন্তু অলিম্পিক পদক হাতছাড়া হলে আর ফিরে পাওয়া যেত না।
