আন্তর্জাতিক স্তরে সুনামের সঙ্গে গল্ফ খেলেছেন তিনি। মিলখার মৃত্যুর তিনদিন পরে তিনি বলেছেন, ‘আমাদের পরিবারের উপর দিয়ে ঝড় চলছে। প্রচণ্ড মানসিক কষ্টে আছি। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মা’র মৃত্যু পরিবারের মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছিল। আর তার পাঁচদিনের মধ্যে বাবার মৃত্যু আরও বড় ধাক্কা। উনি ছিলেন আমার বন্ধু। খেলোয়াড়ী জীবনেও বাবা আমাকে দারুণভাবে গাইড করেছেন। তাই ওঁর মৃত্যুতে আমার জীবনে নেমে এসেছে বিশাল শূন্যতা। তবে এই দুঃসময়ে অনেককে পাশে পেয়েছি। এখনও বাবার অনুগামীদের শোকবার্তা পাচ্ছি। ওঁর শেষ যাত্রার একটি দৃশ্য আমার চিরদিন মনে থাকবে। ট্রাফিক সিগনালে শববাহী গাড়িটি দাঁড়িয়ে পড়ে। পিছনে ছিল মিলিটারিদের একটি ট্রাক। দেখলাম, মুহূর্তের মধ্যে জওয়ানরা ট্রাক থেকে নেমে বাবাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন।’
advertisement
মিলখা ও তাঁর স্ত্রী মে মাসের মাঝামাঝি করোনায় আক্রান্ত হন। এই মারণ ভাইরাসের বিরুদ্ধে দু’জনেই প্রায় এক মাসের বেশি লড়াই করেছেন। কিন্তু চিকিৎসকদের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দু’জনেই গত সপ্তাহে জীবনের ওপারে পাড়ি দিয়েছেন। মা ও বাবার অসুস্থতার সময়ে জীব ছিলেন দুবাইয়ে। পৃথিবীতে বাবা আর নেই। কিন্তু এখনও যেন কিংবদন্তি বাবার সেই বার্তা কানে বাজে ছেলের। " পুত্তর, কাভি ভি হিম্মত মত হার না "।আসলে সংগ্রাম করে বড় হওয়া, সাধনায় নিজেকে ডুবিয়ে রাখা। সাফল্যের শিখরে পৌঁছানো। মিলখার জীবন শিক্ষণীয় বটে।