ভারতীয় -১
#টোকিও: ম্যাচের শুরু থেকে চাপ তৈরি করেছিল ভারত। দুই মিনিটের মধ্যে পেনাল্টি কর্ণার আদায় করে নেয় টিম ইন্ডিয়া। গুরজিত কৌর জোরালো শটে বল জালে পাঠিয়ে দিলেন। কিন্তু পিছিয়ে পড়ে হাল ছাড়েনি আর্জেন্টিনা। দ্বিতীয় কোয়াটারে শুরু থেকেই চাপ দিতে থাকে ভারতীয় ডিফেন্সে। বাঁদিক থেকে বেশি আক্রমণ তৈরি হচ্ছিল আর্জেন্টিনার। পেনাল্টি কর্ণার থেকে মারিয়া বুরিনিভো গোল করে সমতা ফিরিয়ে আনেন ম্যাচে।
advertisement
এরপর দুটো পেনাল্টি কর্ণার আদায় করে ভারত। কিন্তু গোল করতে পারেনি। চাপ বেশী ছিল আর্জেন্টিনার। মিডফিল্ড অঞ্চলে দ্রুত পাস খেলে ভারতের রক্ষণে ঢুকে পড়েছিল তারা। যে কোনো হকি ম্যাচের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় তৃতীয় কোয়াটার। এই সময়টা জিতল আর্জেন্টিনা। আবার পেনাল্টি কর্নার থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দিলেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক মারিয়া বুরিনিভো। ভারতের সামনে পিছিয়ে পড়ে আশা ছিল শেষ ১৫ মিনিটে ফিরে আসার।
চেষ্টা করেছিল ভারত। কিন্তু বলের দখল রাখায় অনেক এগিয়ে ছিল আর্জেন্টিনা। আর্জেন্টিনার ডিফেন্স ভেঙে বিশেষ সুবিধা করতে পারছিল না ভারতের মেয়েরা। নেহা, বন্দনা, শর্মিলা প্রচুর লড়াই করলেন। কিন্তু আর্জেন্টিনার দুরন্ত ডিফেন্স এবং গেম ম্যানেজমেন্ট ভারতের থেকে এগিয়েছিল। ভারতের মহিলাদের স্বর্ণপদকের লড়াই শেষ হয়ে গেল। পুরুষদের মতোই ফাইনালে উঠতে পারলো না তারা। ব্রোঞ্জ পদক জিততে পারে কিনা সেই উত্তর দেবে সময়।
আর্জেন্টিনা ফাইনাল খেলবে নেদারল্যান্ডের বিরুদ্ধে। দুদিন আগে তিনবারের স্বর্ণপদক জয়ী অস্ট্রেলিয়া দলকে হারিয়ে নতুন ইতিহাস রচনা করেছিল ভারতের মহিলা হকি দল। পুরুষরা সেমিফাইনালে বেলজিয়ামের কাছে বিধ্বস্ত হলেও বুধবার আশা ছিল ভারতীয় মহিলা দলের ওপর। যে দল অস্ট্রেলিয়া মত প্রতিপক্ষকে হারাতে পারে, তাঁরা আর্জেন্টিনাকে হারাতে পারবে না, এমন ভাবার কারন ছিল না।
যদিও আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে মেয়েদের রেকর্ড খুবই খারাপ ছিল। আর্জেন্টিনা সফরে কয়েক মাস আগে গিয়েছিল মহিলা দল। সেখানে দুটি হার এবং একটি ম্যাচ ড্র করতে পেরেছিল তাঁরা। কিন্তু সেই ম্যাচ আর অলিম্পিকের মধ্যে বিস্তর ফারাক। গোলরক্ষক সবিতা থেকে শুরু করে মাঝমাঠের সিয়ামি, গুরজিত, শর্মিলা, বন্দনা এবং অধিনায়ক রানী রামপালদের হকি জীবনে এটাই ছিল সবচেয়ে হাইপ্রোফাইল ম্যাচ।
জিতলে পদক নিশ্চিত। কোচ সর্ড ম্যারিন জানতেন এতদূর এসে খালি হাতে ফিরতে হলে পরিশ্রম বৃথা। তাই আর্জেন্টিনার মতো শক্তিশালী দলকে হারাতে হলে ডিফেন্সিভ মানসিকতায় খেলা সম্ভব না জানতেন ভারতীয় কোচ। আর প্রতিপক্ষ যাতে মিডফিল্ড দখল নিতে না পারে সেটাও ছিল ভারতের স্ট্র্যাটেজি।শেষ পর্যন্ত ভারতে পারল না। মাঝে একটা দিন সময়। তারপর গ্রেট বৃটেনের বিরুদ্ধে ব্রোঞ্জ পদক ম্যাচ খেলবে মেয়েরা।
