এদিন ট্যুইটে নীরজ লিখেছেন, 'ঐতিহাসিক লালকেল্লায় স্বাধীনতা দিবসের উদযাপনে সামিল হতে পারাটা গর্বের। খেলোয়াড় ও জওয়ান দুই হিসেবেই। আমাদের জাতীয় পতাকাকে অত উচ্চতায় উড়তে দেখে আমার হৃদয় আবেগে ভরে উঠেছিল। জয় হিন্দ'। রবিবার সকালে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন সোনাজয়ী নীরজ চোপড়া, রুপোজয়ী মীরাবাই চানু, ব্রোঞ্জজয়ী পিভি সিন্ধু, বজরং পুনিয়ারা। এ ছাড়া প্রাক্তন এবং বর্তমান অলিম্পিয়ান মিলিয়ে হাজির ছিলেন ২৪০ জন। স্পোর্টস অথরিটি অব ইন্ডিয়া এবং বিভিন্ন ক্রীড়া সংস্থার কর্তারাও হাজির ছিলেন।
advertisement
জ্বরে ভুগতে থাকলেও রবিবার সুস্থ হয়ে অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন নীরজ। তিনি বলেছেন, 'এতদিন টিভিতে এই অনুষ্ঠান দেখতাম। আজ সামনে থেকে দেখছি। একটা নতুন অভিজ্ঞতা। অনেক দিন পর ব্যক্তিগত ইভেন্টে দেশ সোনা জিতেছে। দেশ যে আমার জন্য গর্বিত, এটা ভেবে আমি খুশি।'
প্রধানমন্ত্রী স্বাধীনতা দিবসের ভাষণের শুরুতেই খেলোয়াড়দের প্রশংসা করে বলেন, 'টোকিয়ো অলিম্পিক্সে দেশকে গর্বিত করা ক্রীড়াবিদরা আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। গোটা দেশকে অনুরোধ করব ওঁদের কৃতিত্বকে তারিফ জানাতে। ওঁরা শুধু আমাদের হৃদয় জিতে নেননি, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে দারুণ ভাবে অনুপ্রাণিত করেছেন।' তাঁর কথায়, 'একটা সময় খেলাধুলোকে সমাজের মূলস্রোতের অংশ বলে ধরাই হত না। বাবা-মায়েরা বলতেন, খেলাধুলো করলে গোটা জীবনটাই নষ্ট হয়ে যাবে। এখন গোটা দেশে খেলাধুলো এবং ফিটনেসের ব্যাপারে মানুষ অনেক সচেতন। এ বারের অলিম্পিক্সেই সেটা ভালো ভাবে বোঝা গিয়েছে। দেশের পক্ষে এটা একটা বিরাট সম্মানের ব্যাপার। এই দশকে খেলাধুলোয় প্রতিভা, প্রযুক্তি এবং পেশাদারিত্বের দিক থেকে আমাদের আরও এগিয়ে যেতে হবে। বোর্ডের পরীক্ষা হোক বা অলিম্পিক্স, ভারতের মেয়েদের দুর্দান্ত প্রদর্শন আমাদের সবাইকে গর্বিত করেছে।'