সেই ম্যাচে ইচ্ছাকৃতভাবে প্রতিপক্ষকে গুঁতো মারার অভিযোগে তাকে শাস্তি দেওয়া হয়। দ্বিতীয় রাউন্ড শেষ হতে তখন আর চার সেকেন্ড বাকি। ক্লার্ককে গুঁতো মারার অপরাধে আলিয়েভকে প্রতিযোগিতা থেকে বাতিল করেন রেফারি। জয়ী ঘোষণা করা হয় ইংলিশ বক্সারকে। এতে রেগে গিয়ে ধর্মঘটে বসেন আলিয়েভ! ফরাসি ব্ক্সারের আঘাতে ফ্রেজারের দুই চোখের নীচে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। তাই আলিয়েভকে বহিস্কার করেন রেফারি।
advertisement
কিন্তু সিদ্ধান্ত ঘোষণা হতেই প্রতিবাদ শুরু করেন ফরাসি বক্সার। রিংয়ের মাঝেই তিনি ধর্মঘটে বসে যা। এসময় ফরাসি দলের সদস্যরা তার কাছে এগিয়ে যান। জল পান করান। প্রায় ৩০ মিনিটের বেশি সময় পর আয়োজকরা আলিয়েভের সঙ্গে কথা বলেন। ফরাসি দলের বাকিদের সঙ্গেও আলোচনা করেন। তারপর সবাই রিং ছাড়েন। কিন্তু মিনিট ১৫ পর আবারও রিংয়ে এসে ধর্মঘটে বসেন আলিয়েভ! আরও প্রায় ১৫ মিনিট বসে থেকে তিনি রিং ছাড়েন।
পরে দোভাষীর মাধ্যমে সাংবাদিকদের আলিয়েভ বলেন, 'সিদ্ধান্তটা যে সঠিক নয় সেটার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতেই আমি এমনটা করেছি। আমি সমস্ত অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে চেয়েছিলাম। আমার সতীর্থরাও অন্যায়ের শিকার হয়েছে। সারা জীবন লড়াই করে এই জায়গায় এসেছি। রেফারির সিদ্ধান্তের জন্য আমি হেরে গেলাম।'
এদিকে ব্রিটিশ বক্সার ক্লার্ক জানিয়েছেন এই নিয়ে আলিয়েভের বিরুদ্ধে তিনি যতবার লড়েছেন এরকম আঘাত প্রায়ই করে থাকেন ফরাসি। ক্লার্ক বোঝাতে চেয়েছেন ঘুঁষি মেরে নয়, প্রতিপক্ষকে নিয়মের বাইরে আঘাত করা আলিয়েভের স্বভাব। ফরাসি বক্সারের নিজের ভবিষ্যতের জন্য ক্ষতিকর হবে এই আচরণ জানিয়েছেন ক্লার্ক।
আলিয়েভ অবশ্য সাংবাদিকদের জানিয়েছেন তিনি খেলার নিয়ম মেনেই যা করার করেছিলেন। কিন্তু রেফারি এবং বিচারকরা সবকিছু না দেখেই রায় দিয়েছেন। তবে ফরাসি বক্সার যেভাবে টিভি ক্যামেরাতে ঘুঁষি মারেন, তাতে স্পষ্ট বোঝা যায় তার হতাশা।
