প্রতিপক্ষকে প্রথম সেটে দুবার ব্রেক করেছিলেন। তবে দ্বিতীয় সেটে লায়লা ফিরে আসার লড়াই চালালেন। ম্যাচ পয়েন্ট বাঁচালেন। শেষপর্যন্ত অবশ্য বাজিমাত রাদুকানুর। রাদুকানুর জন্মও কানাডার টরন্টোয়। তাঁর বাবা ইয়ানের জন্ম রোমানিয়ার বুখারেস্টে। মা শেনিয়াংয়ের জন্ম চিনে। রাদুকানুর কেরিয়ারে তাই দুই দেশেরই টেনিস তারকা সিমোনা হালেপ ও লি না-র প্রভাব রয়েছে।
রাদুকানুর যখন দুই বছর বয়স তখন তাঁর পরিবার চলে যায় ইংল্যান্ডে। পাঁচ বছর বয়সে টেনিস খেলা শুরু রাদুকানুর। উইম্বলডনের শেষ ১৬ থেকে বিদায় নিলেও এবার তাঁর সামনে ইতিহাস গড়ার হাতছানি ছিল। ২২ বছর পর এই নিয়ে ওপেন এরায় দুই টিনএজার ফাইনালে খেতাবের লক্ষ্যে নেমেছিলেন অষ্টমবার। ইউএস ওপেনে শেষবার দুই টিনএজারের মধ্যে মহিলা সিঙ্গলস ফাইনাল হয়েছিল ১৯৯৯ সালে। সেবার সেরেনা উইলিয়ামস হারিয়েছিলেন মার্টিনা হিঙ্গিসকে।
advertisement
এবারের উইম্বলডনে শেষ ১৬ অবধি পৌঁছেছিলেন রাদুকানু। তার আগে তিনি ছিলেন বিশ্বের ৩৩৬ নম্বর খেলোয়াড়। গত ২৩ অগাস্ট তাঁর কেরিয়ারের সেরা র্যাঙ্কিং দাঁড়ায় ১৫০। এবার তিনি বিশ্বের প্রথম তিরিশে ঢুকে পড়তে চলেছেন। ১৯৫৯ সালে ১৮ বছর বয়সে ফরাসি ওপেন ফাইনাল খেলেছিলেন ক্রিস্টিন ট্রুম্যান। ফলে ৬২ বছরে রাদুকানুই প্রথম সর্বকনিষ্ঠ ব্রিটিশ টেনিস খেলোয়াড় হিসেবে গ্র্যান্ড স্ল্যামে খেলবেন।
ব্রিটেনের প্রাক্তন এক নম্বর টিম হেনম্যানের পরামর্শ তাঁকে সমৃদ্ধ করেছে বলেও জানিয়েছেন রাদুকানু। এর আগে ফ্লাশিং মিডোসে ঝড় তুলে ব্রিটিশ অষ্টাদশী এমা রাদুকানু উড়িয়ে দেন গ্রিসের সপ্তদশ বাছাই মারিয়া সাকারিকে। খেলার ফল ৬-১, ৬-৪। ৪৪ বছর পর এই প্রথম ব্রিটিশ কোনও মহিলা গ্র্যান্ড স্ল্যাম ফাইনাল খেললেন।
১৯৭৭ সালে উইম্বলডন ফাইনাল খেলেছিলেন ভার্জিনিয়া ওয়েড। কেরিয়ারের তিনটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম সিঙ্গলস খেতাবের প্রথমটি ওয়েড ১৯৬৮ সালে জিতেছিলেন ইউএস ওপেনেই। ফলে ৫৩ বছর পর কোনও ব্রিটিশ মহিলা সিঙ্গলস ফাইনালে উঠেছিলেন। খেললেন এবং ইতিহাস গড়লেন এমা। টেনিস বিশ্ব দেখল এক নতুন তারকার জন্ম।
