২৩ বছরের প্রাক্তন ন্যাশনাল জুনিয়র চ্যাম্পিয়ন সাগর ধনখড়ের খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে সুশীলের বিরুদ্ধে। তার পর থেকেই আত্মগোপন করেছেন সুশীল।
গত মঙ্গলবার উত্তর দিল্লির ছত্রশাল স্টেডিয়ামে অনুশীলন চলাকালীন ছয় কুস্তিগির কুমার, অজয়, প্রিন্স, সোনু মহল, সাগর ধনখড় ও অমিত কুমারের মধ্যে সংঘর্ষ হয় বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। এই ঘটনায় সাগর নামে এক কুস্তিগির মারা যান। আহত হন সোনু ও অমিত। তাঁদের চিকিৎসা চলছে।
advertisement
সুশীল কুমারের বাড়িতে হানা দিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, সুশীল ফেরার। তাঁর খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ। ওই কুস্তিগীরের মৃত্যুর ঘটনার পর থেকেই সুশীল কুমারকে খুঁজছে পুলিশ। এরই মধ্যে সুশীল কুমারের মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন পাওয়া যায় উত্তরাখণ্ডে। পুলিশ মনে করছে, উত্তরাখণ্ডের কোনও জায়গায় লুকিয়ে রয়েছেন অলিম্পিকে পদক জয়ী কুস্তিগীর। পুলিশের চারটি দল সুশীল কুমারের খোঁজে উত্তরাখণ্ড পৌঁছেও গিয়েছে।
খুনের ঘটনাস্থল থেকে দুটি এসইউভি সমেত মোট পাঁচটি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। যার মধ্যে একটি গুরুগ্রামের কোনও কোম্পানির নামে নথিভুক্ত রয়েছে। আরেকটি গাড়ি হরিয়ানার কুখ্যাত অপরাধী মোহিতের নামে রেজিস্ট্রেশন রয়েছে। তদন্তের স্বার্থে পুলিশ স্টেডিয়ামের একাধিক সিসিটিভি ক্যামেরা স্ক্যান করেছে। তবে যে জায়গায় ঘটনা ঘটেছে, সেখানে সিসিটিভি ছিল না। স্টেডিয়ামের বাইরে সিসিটিভি ক্যামেরা স্ক্যান করে পুলিশ জানতে পেরেছে, ঘটনার সময় ওই এলাকায় ১০-১৫ জন কুস্তিগীর ছিল। তবে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই তারা ফেরার হয়ে যায়। ২৩ বছর বয়সী কুস্তিগীর সাগরকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার হলেও তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি ৷