এমনিতে ধনী ক্রীড়াবিদদের তালিকায় প্রথম দশেও নিয়মিত দেখা যেত না তাঁকে। কিন্তু ২০২০ যেন সব দিক থেকে ব্যতিক্রম। বছরে মাত্র একটা ম্যাচ লড়েছেন কনর। জানুয়ারিতে ডোনাল্ডো সেরোনের বিরুদ্ধে সেই ম্যাচ থেকে তিনি কামিয়েছেন ২২ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ১৬২ কোটি টাকা)। কিন্তু ফোর্বসের তালিকায় দেখা গিয়েছে, বছরে তাঁর মোট আয়ের পরিমাণ ১৮০ মিলিয়ন ডলার (১৩২৫ কোটি টাকা)। এর মধ্যে ওই ২২ মিলিয়ন বাদে বাকি টাকা এসেছে স্পনসরশিপ এবং বিজ্ঞাপন থেকে।
advertisement
উল্লেখ্য, এর আগে তিনি ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড ক্লাব কেনার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন। ধনীদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে মেসি এবং তৃতীয় স্থানে রোনাল্ডো রয়েছেন। মেসির আয় ১৩০ মিলিয়ন ডলার। রোনাল্ডোর আয় ১২০ মিলিয়ন ডলার। তিনি হলেন এমএমএ এর ইতিহাসে সর্বোচ্চ পে-পার-ভিউ (পিপিভি) অর্জনকারী এবং তিনি সর্বোচ্চ পে-পার-ভিউ অর্জন করা ইউএফসির ছয় ইভেন্টের পাঁচটিতেই ছিলেন।
তাঁর সঙ্গে রাশিয়ার হাবিব নুরমাগোমেডোভের ম্যাচটি ২.৪ মিলিয়ন পিপিভি অর্জন করেছিল, যা কোনো এমএমএ এর ইভেন্টে সর্বোচ্চ। মেওয়েদারের সঙ্গে তাঁর বক্সিং ম্যাচ ৪.৩ মিলিওন পিপিভি অর্জন করেছিল উত্তর আমেরিকায়, যা হল ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এমনিতে প্রচন্ড মাথা গরম মানুষ বলেই পরিচিত ম্যাক গ্রেগর। কিন্তু বিশ্বের ধনীতম ক্রীড়াব্যক্তিত্ব হয়ে তিনি যে নিজেকে পাল্টে ফেলবেন, এমন সম্ভাবনা দেখছেন না বিশেষজ্ঞরা।একদিকে যখন ভাইরাসের আক্রমণে আর্থিক অভাবে মার খেয়েছে অধিকাংশ খেলা , সেই বাজারে কনোরের এই রেকর্ড ভাবনার বাইরে।

