স্পেন -১
#টোকিও: অলিম্পিক ফুটবল ফাইনাল এর ছেলেদের স্বর্ণ পদক পাওয়ার ম্যাচে ব্রাজিল বনাম স্পেন লড়াই যে দারুণ উপভোগ্য হতে চলেছে তাতে সন্দেহ ছিল না। প্রথম থেকেই ব্রাজিলের দাপট ছিল বেশি। ছোট ছোট পাসে খেলতে খেলতে জায়গা তৈরি করছিল হলুদ সবুজ জার্সিধারীরা। অভিজ্ঞ ড্যানি আলভেজ ব্রাজিল অধিনায়ক হিসেবে হয়তো জীবনের শেষ টুর্নামেন্টে খেলছেন। তিনি দলকে গাইড করলেন শুরু থেকে। বিরতির ঠিক আগে লিড নিল ব্রাজিল। বাঁদিক থেকে ভেসে আসা একটা বল কন্ট্রোল করে দুর্দান্ত গোল করলেন ডি কুনহা।
advertisement
বিরতির পর অবশ্য ম্যাচে ফিরল স্পেন। পেদৃ, মেরিনো, ওলমো মিডফিল্ড অঞ্চলের দখল নিলেন। কারলোস সোলার ডানদিক থেকে দুর্দান্ত ক্রস করলেন। বল বক্সের মধ্যে পড়ার সময় চলন্ত বলেই ভলি করে গোল করলেন মিকেল। দেখার মত গোল। ইউরো কাপে খেলা চারজন ফুটবলার ছিল স্পেন দলে। গোল পেয়ে গিয়ে স্পেন চেপে বসল ব্রাজিলের ঘাড়ে। দ্বিতীয় গোল প্রায় পেয়ে গিয়েছিলেন স্পেনের ব্রায়ান। বল ক্রসপিসে লেগে ফিরে আসে।
ব্রাজিল বল পেলে কাউন্টার আক্রমণ করার চেষ্টা করছিল এন্টনি, ক্লিডিনহোদের মাধ্যমে। তবে নির্ধারিত সময় পর্যন্ত ম্যাচ ১-১ থাকার কারণে ম্যাচ গড়াল টাইব্রেকারে। ম্যালকম নামার পর আবার কিছুটা ম্যাচে ফিরল ব্রাজিল। স্পেন নামাল রাফা মিরকে। অতিরিক্ত সময়ের প্রথম ১৫ মিনিট কোনও গোল হল না। দ্বিতীয়ার্ধে শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের ভেতরে ম্যালকম গোল করে এগিয়ে দেন ব্রাজিলকে।
রেনইয়ারের পাস ধরে গতিতে স্প্যানিশ ডিফেন্ডার ভালেহকে পরাস্ত করে গতিতে ছিটকে বেরিয়ে বাপয়ের শটে পরাস্ত করেন স্পেনের গোলরক্ষক উনাই সিমণকে। এরপর হাতে থাকা ১২ মিনিটে গোল করা কঠিন ছিল স্পেনের পক্ষে।
চার বছর আগে নিজেদের ঘরের মাঠে জার্মানিকে হারিয়ে সোনা জিতেছিল নেইমারের ব্রাজিল। আর এবার ইয়োকোহামা ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে আবার সোনা জিতল সেলেকাও। ১৯ বছর আগে এই মাঠেই অলিভার কানের গোলে দুবার বল জড়িয়ে নায়ক হয়েছিলেন রোনাল্ডো। বিশ্বজয়ের' সেই মাঠেই আবার সেরার শিরোপা ব্রাজিলের।
