পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুরুতে মাঠে প্রবেশের জন্য মাত্র ১৫০টি পাস ইস্যু করা হয়েছিল। তবে পরে প্রভাবশালী কয়েকজনের চাপে পড়ে সেই সংখ্যা বাড়াতে বাধ্য হন বলে তদন্তকারীদের জানিয়েছেন শতদ্রু দত্ত। তিনি আরও জানান, Lionel Messi-র নিরাপত্তা টিম স্পষ্টভাবে সতর্ক করেছিল—অনুষ্ঠান চলাকালীন ফুটবলারকে কোনওভাবেই স্পর্শ করা যাবে না। অভিযোগ, সেই নির্দেশ উপেক্ষা করা হয়।
advertisement
ঘটনার ভিডিও ফুটেজে দেখা গিয়েছে, এক রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী মেসিকে টানছেন—এই দৃশ্য এখন তদন্তের আওতায় এসেছে। পুলিশ জানিয়েছে, পরিকল্পনা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থায় গুরুতর গাফিলতির পাশাপাশি সম্ভাব্য আর্থিক অনিয়ম খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তদন্তকারীদের দাবি, মেসির সঙ্গে ছবি তোলার জন্য ১০ লক্ষ থেকে ৩০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হয়েছিল। তবে এই লেনদেনের কোনও বৈধ নথি এখনও পাওয়া যায়নি। পুলিশের অনুমান, নগদে টাকা তোলা হয়েছিল এবং তা অঘোষিত আয় হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
তল্লাশির সময় শতদ্রু দত্তের বাড়িতে একাধিক অস্বাভাবিক ব্যবস্থা নজরে আসে—এক তলায় সুইমিং পুল, ছাদে ফুটবল মাঠ এবং বড় অফিস স্পেস। শনিবার সকালে বিধাননগর পুলিশের ডিটেকটিভ ডিপার্টমেন্টের একটি দল রিষড়া থানায় যাওয়ার পর বাড়িতে পৌঁছয়।
উল্লেখ্য, ১৩ ডিসেম্বর যুবভারতীতে বিশৃঙ্খলা ছড়ানোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই শতদ্রু দত্তকে গ্রেফতার করা হয়। আয়োজক হিসেবে পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে ‘গুরুতর ব্যর্থতা’র দায় তাঁর উপর বর্তেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সিট এখন প্রায় ১০০ কোটি টাকার আর্থিক অনিয়মের সম্ভাব্য যোগসূত্র খতিয়ে দেখছে বলে সূত্রের খবর।
তদন্তে আরও উঠে এসেছে, আয়োজক সংস্থা ও তাদের সহযোগী সংগঠনের একাধিক পদাধিকারীর জড়িত থাকার ইঙ্গিত। মেসি-কেন্দ্রিক বিভিন্ন কার্যকলাপের সঙ্গে এই লেনদেন যুক্ত থাকতে পারে বলে সন্দেহ।
টিকিট বিক্রি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশ জানিয়েছে, বিক্রি হওয়া টিকিটের প্রায় অর্ধেকের কোনও নথি পাওয়া যাচ্ছে না। প্রায় ৬৬ হাজার আসন বিশিষ্ট যুব ভারতী স্টেডিয়ামের আয়োজকরা দাবি করেছিলেন, অর্ধেক টিকিট বিক্রি হয়েছে এবং বাকিগুলি বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছিল। তবে পুলিশ এই ব্যাখ্যাকে সন্দেহজনক বলেই মনে করছে। তদন্তকারীদের মতে, এত বড় বাণিজ্যিক ক্রীড়া আয়োজনের ক্ষেত্রে এমন সিদ্ধান্তে বিপুল ক্ষতির সম্ভাবনা থাকত, যা বাস্তবসম্মত নয়।
