জানা গিয়েছে, ফাঁস হওয়া রিপোর্টটি ২০২৩ সালের জুন মাসে প্যারিসের ক্রেমলিন-বিসেট্রে হাসপাতাল এবং আলজিয়ার্সের মোহাম্মদ লামিনে দেবাঘিনে হাসপাতালের সহযোগিতায় তৈরি করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ার কাছে সিরিজ হেরেও WTC-এর ফাইনালে যেতে পারে ভারত! কোন অঙ্কে জানুন
এক ফরাসি সাংবাদিক, যাঁর নাম জাফফার আইট আওদিয়া, মেডিকেল রিপোর্টটি প্রকাশ্যে এনেছেন৷ সেখানে পরিষ্কার বলা হয়েছে, খলিফ ৫ অ্যালফা রিডাকটেজ ঘাটতির শিকার, যা একটি যৌন বিকাশের রোগ৷ এটা সাধারণত জেনেটিক পুরুষদের মধ্যেই পাওয়া যায়।
advertisement
ওই রিপোর্টের সঙ্গে একটি এমআরআই রিপোর্টও প্রকাশ্যে৷ খলিফের শারীরিক পরীক্ষার একটা কপিও মিলেছে৷ যেখানে এটাই বলা হয়েছে যে, খলিফের জরায়ু ছিল না, বরং তাঁর অভ্যন্তরীণ অন্ডকোষ এবং একটি ‘মাইক্রোপেনিস’ ছিল।
আরও পড়ুন: IPL-এ সবচেয়ে বেশি ক্রিকেটার রিটেন করেছে কোন দল জানেন? সবচেয়ে কমই বা কে!
এখানেই শেষ নয়, এমআরআই পরীক্ষা পর, খলিফ একটি ক্রোমোজোমাল টেস্টও করেছিলেন৷ যা আরও নিশ্চিত করেছে যে আলজেরীয় বক্সারের কেরিওটাইপ ছিল XY। তাঁর হরমোনাল পরীক্ষাতেও দেখা গিয়েছে যে, খলিফের টেস্টোস্টেরন স্তর পুরুষদের মতোই ছিল।
৫-অ্যালফা রিডাকটেজ ঘাটতি কী?
৫-অ্যালফা রিডাকটেজ ঘাটতি একটি শারীরিক অবস্থার নাম, যা জন্মের আগে এবং প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার প্রথম পর্যায়-এর সময় পুরুষদের যৌন বিকাশে প্রভাব ফেলে। ৫-অ্যালফা রিডাকটেজ ঘাটতির কারণে অনেক লোককে জন্মের সময় মহিলা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়৷
প্রসঙ্গত, খলিফ জন্মসূত্রে মহিলা হিসেবে চিহ্নিত, এবং তার পাসপোর্টে এভাবেই লেখা রয়েছে, যা আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির (IOC) বক্সিংয়ের জন্য যোগ্যতার মানদণ্ড। তবে, এটি স্পষ্ট যে, আন্তর্জাতিক বক্সিং অ্যাসোসিয়েশনের (IBA) সঙ্গে খলিফের একটি বিতর্কিত ইতিহাস রয়েছে। ২০২৩ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে পৌঁছানোর পর, তাকে আকস্মিকভাবে ডিসকোয়ালিফাই করা হয়েছিল, কারণ মেডিকেল রিপোর্টে তার শরীরে টেস্টোস্টেরনের উচ্চ স্তর উপস্থিত ছিল। এই ডিসকোয়ালিফিকেশনকে অত্যন্ত অস্বাভাবিক হিসাবে দেখা হয়েছিল, এবং খলিফ তখন এটি “একটি বড় ষড়যন্ত্র” বলে মন্তব্য করেছিলেন।