বিরাট কোহলি তো বটেই, টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ভাল খেলা রোহিত শর্মা বা কেএল রাহুলও সেই দলে সুযোগ পাননি। আইসিসি-র বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি একাদশে নেতা হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে পাকিস্তানের বাবর আজমকে। গত বছরে ২৯টি টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে ৯৩৯ রান করেছিলেন বাবর। একটি শতরান এবং ৯টি অর্ধশতরান ছিল তাঁর। পাকিস্তানকে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন তিনি।
advertisement
শুধু বাবরই নন, তাঁর দলের আরও দুই সতীর্থ সুযোগ পেয়েছেন বর্ষসেরা একাদশে। তাঁরা হলেন মহম্মদ রিজওয়ান এবং শাহিন শাহ আফ্রিদি। ওপেনিং সতীর্থ রিজওয়ান গত বছরে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ২৯ ম্যাচে ১৩২৬ রান করেছেন। গড় ৭৩.৬৬। তিনিও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অনবদ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন। শাহিন আফ্রিদি গত বছর ২১টি ম্যাচ খেলে ২৩টি উইকেট নেন। ভারতের বিরুদ্ধে অসাধারন বল করেন। ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের ১০ উইকেটে জয় শাহিন আফ্রিদি বিরাট অবদান রাখেন।
পাকিস্তানের পাশাপাশি দক্ষিণ আফ্রিকার তিন ক্রিকেটার বর্ষসেরা একাদশে সুযোগ পেয়েছেন। তাঁরা হলেন এইডেন মার্করাম, ডেভিড মিলার এবং তাবরেজ শামসি। অস্ট্রেলিয়ার থেকে সুযোগ পেয়েছেন মিচেল মার্শ এবং জশ হেজলউড। ইংল্যান্ডের থেকে রয়েছেন জস বাটলার। শ্রীলঙ্কা থেকে ওয়ানিন্দু হাসরঙ্গ এবং বাংলাদেশ থেকে মুস্তাফিজুর রহমানও রয়েছেন।
মহিলাদের বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি একাদশেও ভারতের প্রতিনিধি মাত্র একজন। তিনি ওপেনার স্মৃতি মন্ধানা। মহিলাদের দলকে নেতৃত্ব দেবেন ইংল্যান্ডের ন্যাট শিভার। উইকেটকিপার অ্যামি জোন্স। উল্লেখ্য, গত বছর টি-টোয়েন্টিতে ভারতীয় মহিলা দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন স্মৃতি।
যদিও আইসিসির ক্রমতালিকায় টি টোয়েন্টি ফরম্যাটে দল হিসেবে ভারত রয়েছে দুই নম্বরে, ঠিক ইংল্যান্ডের পরেই। তবুও আইসিসির সেরা দলে পাকিস্তান বাংলাদেশ রয়েছে, অথচ ভারত নেই! লজ্জা তো বটেই।