শুধু সাধারণ নাগরিক নন, টিম ইন্ডিয়ার এই সাফল্য উদযাপনে শরিক হয়েছেন দেশের প্রথিতযশারাও। রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন এবং প্রতিষ্ঠাতা নীতা এম আম্বানি যেমন আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫ জয়ের জন্য ভারতীয় ক্রিকেট দলের সদস্যদের অভিনন্দন জানিয়েছেন।
“ভারতের জন্য কী গর্বের এবং ঐতিহাসিক এক মুহূর্ত! তৃতীয়বারের মতো আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫ জেতার জন্য এবং বিশ্ব মঞ্চে আবারও দেশকে উজ্জ্বল করার জন্য আমাদের নীল দলের প্রতি আন্তরিক অভিনন্দন। এই জয় কেবল ক্রিকেটের নয়, তার চেয়েও বেশি কিছু- এটি কোটি কোটি স্বপ্নের বাস্তবায়ন, একটি জাতির উর্ধ্বমুখী গর্ব। ভারত জ্বলছে এবং বিশ্ব দেখছে। জয় হিন্দ”, টিম ইন্ডিয়াকে তাদের অসাধারণ জয়ের জন্য অভিনন্দন জানিয়ে এ কথা বলেন নীতা এম আম্বানি।
advertisement
রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন এবং প্রতিষ্ঠাতার মতোই টিম ইন্ডিয়াকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় টিম ইন্ডিয়ার ভূয়সী প্রশংসা করে। নরেন্দ্র মোদি লেখেন, “একটা অসাধারণ ম্যাচ ও অসাধারণ ফল। আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতে দেশে নিয়ে আসায় ভারীয় ক্রিকেট দলকে নিয়ে গর্বিত। পুরো প্রতিযোগিতায় অনবদ্য ক্রিকেট খেলেছে। এই সাফল্যের জন্য সকলকে শুভেচ্ছা”।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভারতীয় দলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু লেখেন, “আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের জন্য হৃদয় থেকে ভারতীয় ক্রিকেট দলকে শুভেচ্ছা। একমাত্র দল হিসেবে ভারত তৃতীয়বার এই প্রতিযোগিতা জিতল। ভারতীয় দলের সকল সদস্যকে শুভেচ্ছা। ভারতীয় দলের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল”।
ভারতীয় ক্রিকেট দলকে শুভেচ্ছা জানাতে দেরি করেননি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ও। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, “আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জেতার জন্য ভারতকে শুভেচ্ছা। একটি উত্তেজক টানটান ফাইনাল ম্যাচ হল। আমাদের ছেলেরা দুরন্ত খেলেছে ও ধারাবাহিকতার পরিচয় দিয়েছে। সেই কারণেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিততে পেরেছি”।
বলে রাখা ভাল, আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট যা প্রতি চার বছর অন্তর অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির উদ্বোধনী বছরে ১৯৯৮ সালের জুন মাসে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরু হয়েছিল টেস্ট খেলে না এমন দেশে খেলার উন্নয়নের জন্য তহবিল সংগ্রহের জন্য। এর ফরম্যাট একদিনের আন্তর্জাতিক। ক্রিকেটের যে ইভেন্টগুলিতে সবচেয়ে বেশি মানুষের নজর থাকে এই ইভেন্টটি সেইরকম একটি ইভেন্ট৷ বিশ্বকাপের মতোই দর্শকরা এই ক্রিকেট ইভেন্টটি দেখতেও পছন্দ করেন।