কদিন আগেই এক তথ্যচিত্রে ফুটবলজীবন ও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করতে দেখা গেছে তাঁকে। সেখানেই বলেছিলেন, ক্রমবর্ধমান চাপে খেলার প্রতি ভালোবাসা হারিয়ে ফেলেন মাঝেমধ্যে। গত দুই সপ্তাহের ঘটনা নাকি এরই মধ্যে প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে তাঁর ফুটবলে। ক্লাবের অনুশীলনে নাকি আর মন দিচ্ছেন না নেইমার।
advertisement
দলবদলের রেকর্ড ভেঙে নেইমারকে নিয়েছে পিএসজি। বেতনের ক্ষেত্রে এ প্রজন্মের সেরা দুই খেলোয়াড়ের একজন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর চেয়ে বেশি বেতন দিয়েছে প্যারিসের ক্লাব। সে তুলনায় ক্লাবকে প্রতিদান দিতে পারেননি কিছুই। তাঁর সঙ্গী হতে এসে উল্টো তাঁকে ছাড়িয়ে গেছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। গত পাঁচ বছরে ক্লাবের সব ধরনের সাফল্য, চ্যাম্পিয়নস লিগে মনে রাখার মতো মুহূর্তে নেইমার নয়, এমবাপ্পেই ছিলেন।
এ কারণেই রিয়াল মাদ্রিদের কাছে ছিটকে পড়ার পর গত সপ্তাহে সমর্থকদের কাছ থেকে গালাগালি শুনতে হয়নি এমবাপ্পেকে। নেইমারের হয়েছে উল্টো। ম্যাচের শুরু থেকেই মেসি ও নেইমার—দুজনকেই আওয়াজ দেওয়া হলেও ধীরে ধীরে মেসির ক্ষেত্রে ক্ষোভ কিছুটা কমে এসেছিল সমর্থকদের, যা ম্যাচে এক গোল করা নেইমারের ক্ষেত্রে হয়নি। ক্লাবে তাঁর অবস্থান এখন কেমন, সেটা বোঝা গেছে এ সপ্তাহে লিগ ম্যাচে।
মোনাকোর মাঠে ৩-০ গোলে হেরে গেছে পিএসজি। অসুস্থতার কারণে মেসি ছিলেন না। ২-০ গোলে পিছিয়ে থাকা অবস্থায়ও নেইমারকে মাঠ থেকে তুলে নিয়েছেন কোচ মরিসিও পচেত্তিনো। এর প্রভাব পড়েছে তাঁর মানসিকতায়। আরএমসি স্পোর্টসের সাংবাদিক দানিয়েল রাইওলো দাবি করেছেন, নেইমার একদম ভেঙে পড়েছেন। এল লারগেরোর বরাতে স্প্যানিশ পত্রিকা এএস জানিয়েছে, রাইওলো বলেছেন, নেইমার এখন অনুশীলন বলতে গেলে করেই না।
খুবই করুণ অবস্থায় আসে অনুশীলনে, প্রায় মাতাল অবস্থায়। এখন এমনই চলছে। পিএসজির ওপর প্রতিশোধ নেওয়ার মানসিকতা দেখা যাচ্ছে তাঁর মধ্যে। ক্লাব ও সতীর্থদের সঙ্গে সম্পর্ক একদম নষ্ট হয়ে গেছে। পিএসজির মালিক নাসের আল খেলাফি দ্রুত ছেড়ে দিতে পারেন ব্রাজিলীয় তারকাকে।