প্রথম ইউসিলের স্বপ্ন এখন একটু দূরেই মনে হচ্ছে পিএসজির। বায়ার্নের ঘরে নেইমারকে বাদ দিয়েই নামতে হবে পিএসজিকে। দলের অন্যতম মুখ্য প্লেয়ার নেইমার, পাস স্কিল ফিনিশ সব দিকেই বড় অবদান রাখতে সক্ষম। কঠিন মুহূর্তে তার অসাধারণ সৃজশীলতা ক্ষমতা রাখে বড় কিছু ঘটানোর। কিন্তু প্রয়োজনের সময়ে চোট পেয়ে বাইরে চলে যান।
advertisement
কাতার বিশ্বকাপের মঞ্চেও চোট পেয়ে যান। চোট সারিয়ে ওঠার কিছুদিনের মধ্যেই আবার চোট পেয়ে যান তিনি। এরকমটাই হয়ে এসেছে তার বছরের পর বছর। ২০২১ থেকে তার পারফরম্যান্সের অবনতি শুরু হয়েছে। বার বার চোট পেয়ে তার গতি এবং তীক্ষ্ণতা কমে গেছে প্রচুর। অনেকবার গোড়ালি এবং পেশিতে ট্রিটমেন্ট হওয়ার জন্য আগের মতো স্টেপ অভার বা গতি দেখা যায় না আর।
এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে চোট পাওয়াটা, ফেলে দিতে পারে তার কেরিয়ার এবং মনোবল। পিএসজি ধীরে ধীরে নেইমারের উপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে আনছে। তাকে ছাড়াই ফরাসী লিগে পর পর ম্যাচ জিতছে পিএসজি। মেসি এবং এমব্যপের জুটি জ্বলে উঠেছে প্যারিস সা জার্মানের লাইনাপে। ব্যভেরিয়ান দানব বায়ার্ন মিউনিখের বিরুদ্ধে ঘাড়ে অনেক চাপ নিয়ে খেলতে নামবে পিএসজি।
মেসিকেই ওঠাতে হবে খেলা তৈরি করার বোঝা, নেইমার থাকলে অর্ধেক কাজ কমে যেত তার। কিন্তু সম্প্রতি লিওনেল মেসির ফর্ম আশ্বস্ত করেছে পিএসজি সমর্থকদের। আলিয়াঞ্জ এরিনাতে মুখোমুখি হবে বায়ার্ন পিএসজি। স্পটলাইট থাকবে মেসি এবং এমব্যপের ওপর। লিগ ওয়ানের শেষ কয়েকটি ম্যাচে এরা একে অপরকে অনেক গোল করিয়েছেন।
২০২২-২৩ মরশুমের শুরু থেকে দুর্দান্ত ফর্মে আছেন দুজনেই। পিএসজির আক্রমণের কারিগর হিসেবে নির্দ্বিধায় দায়িত্ব দেওয়া যায় ফিফার বর্ষসেরা জয়ী লিওনেল মেসির উপর।