মানহাসের এই পদে আগমন ভারতীয় ক্রিকেট প্রশাসনে এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। তিনি হচ্ছেন প্রথম জম্মু ও কাশ্মীরে জন্ম ভারতীয় ক্রিকেটার যিনি বিসিসিআই-এর সর্বোচ্চ পদে বসতে চলেছেন। একইসঙ্গে, তিনি হচ্ছেন প্রথম আনক্যাপড ভারতীয় ক্রিকেটার যিনি বোর্ড সভাপতির দায়িত্বে আসছেন। সাধারণত টেস্ট বা আন্তর্জাতিক পর্যায়ের খেলোয়াড়দেরই এমন পদে দেখা যায়, ফলে এটি ব্যতিক্রমী এক ঘটনা।
advertisement
বিসিসি-এর সংবিধানে ২০১৬ সালে লোধা কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী, বোর্ড পরিচালনায় একজন প্রাক্তন খেলোয়াড় থাকা বাধ্যতামূলক হয়। এবারের বার্ষিক সাধারণ সভায় যোগদানের ভিত্তিতে অন্যান্য যোগ্য প্রার্থী ছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, রঘুরাম ভাট ও হরভজন সিং। তবে শেষপর্যন্ত মানহাসের উপরই বোর্ড সদস্যরা আস্থা দেখায়।
মানহাস জম্মু ও কাশ্মীর ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনে পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন, যখন হাইকোর্টের নির্দেশে বিসিসিআই রাজ্যের ক্রিকেট পরিচালনার দায়িত্ব নেয়। বোর্ড সচিব দেবজিত সইকিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার ফলেই মানহাসের নাম সামনে আসে। জানা গেছে, এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আইনি পরামর্শও নেওয়া হয় এবং বৈঠক চলে মধ্যরাত পর্যন্ত।
মানহাসের ক্রিকেট কেরিয়ারও উল্লেখযোগ্য। তিনি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৯৭১৪ রান করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে ২৭টি সেঞ্চুরি। বীরেন্দ্র সেহওয়াগ এবং যুবরাজ সিং-এর মতে, মানহাসের ক্রিকেট জ্ঞান অসাধারণ এবং তিনি মাঠ ও মাঠের বাইরে সবসময় বুদ্ধিদীপ্ত সিদ্ধান্ত নেন।
আরও পড়ুনঃ IND vs PAK: বিতর্কে পাকিস্তান ব্যটারের ‘গান-ফায়ারিং’ সেলিব্রেশন! নেট দুনিয়ায় নিন্দার ঝড়
প্রতিবেদন অনুযায়ী, নতুন সভাপতির নেতৃত্বে গঠিত অফিস-ধারকেরা আগামীতে সরকারের ক্রীড়া বিল কার্যকর হলেও পদে বহাল থাকবেন। যেখানে অন্য ক্রীড়া ফেডারেশনগুলিকে নতুন নির্বাচন করতে হবে, সেখানে বিসিসিআই-এর ক্ষেত্রে সেই বাধ্যবাধকতা নেই বলেই জানা যাচ্ছে। ফলে মা নহাসের নেতৃত্বে বোর্ড আগামীর জন্য প্রস্তুত।