এই নতুন বিলে উল্লেখ করা হয়েছে, জাতীয় ক্রীড়া সংস্থাগুলি কেন্দ্রীয় সরকারের অনুদান পাবে, এবং সেই অর্থ কীভাবে ব্যয় হচ্ছে তা নিয়ে থাকবে সরকারি পর্যবেক্ষণ। অর্থাৎ পরিকাঠামো উন্নয়নের নামে অনিয়ম বা দুর্নীতি ঠেকানো যাবে সহজে। সরকারি অনুদানে চলা ক্রীড়া সংস্থাগুলির উপর আরটিআই (তথ্য জানার অধিকার) আইনও কার্যকর হবে, যা স্বচ্ছতা বজায় রাখতে সাহায্য করবে।
advertisement
বিলের আওতায় বিসিসিআই-ও (ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড) আসছে, যদিও অন্যান্য সংস্থার তুলনায় তারা কিছুটা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে। যেমন, আরটিআই আইন সরাসরি বিসিসিআইয়ের ওপর প্রযোজ্য হবে না যদি না তারা সরকারি অনুদান গ্রহণ করে। তা ছাড়াও, বোর্ডের পদাধিকারী হওয়ার প্রক্রিয়া কিছুটা সহজ করা হয়েছে সংশোধিত নিয়মের মাধ্যমে।
এঅ বিলের ফলে ভারতীয় ক্রিকেটেও বড়সড় পরিবর্তন হল। বিশেষ করে প্রশাসনিক পদ সামলানোর ক্ষেত্রে। এখন ক্রিকেটে যে কোন সংস্থায় অফিস বেয়ারার পদে সর্বোচ্চ ১২ বছর টানা থাকা যাবে। এরপর চার বছর যেতে হবে কুলিং অফ পিরিয়ডে। তারপর ফের কোনও পদে এলে আবার ১২ বছরের জন্য আসা যেতে পারে পদে। বয়স সীমাও বাড়িয়ে ৭৫ করা হয়েছে নতুন বিলে।
এই বিল কার্যকর হলে, ভারতের ক্রিকেট প্রশাসনের অন্যতম বিতর্কিত বিষয় — লোধা কমিটির সুপারিশ — কার্যত বাতিল হয়ে যাবে। এর ফলে, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড চলবে নতুন স্পোর্টস বিল অনুযায়ী। উল্লেখযোগ্যভাবে, ২০১১ সালের ‘ন্যাশনাল স্পোর্টস কোড’ এতদিন কেবল একটি নির্দেশিকাই ছিল; কিন্তু এবার তা আইনি বৈধতা পেয়েছে। দেশের ক্রীড়াক্ষেত্রে এটি এক নতুন যুগের সূচনা।